শিরোনাম: |
শ্রীলঙ্কায় ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে, রামবুক্কানা শহরে কারফিউ
|
![]() গতকাল মঙ্গলবার দেশটির রামবুক্কানা শহরে বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশের গুলিবর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। অর্থনৈতিক সঙ্কট নিয়ে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরুর পর এই প্রথম বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালাল পুলিশ। মঙ্গলবার জ্বালানির মূল্য প্রায় ৬৫ শতাংশ বাড়ালে দেশটির বিভিন্ন জায়গায় এই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের মূল্যও বৃদ্ধি পেয়েছে এদিন। রামবুক্কানা শহরে জড়ো হওয়া জনতা জ্বালানির দাবিতে টানা ১৫ ঘণ্টা বিক্ষোভ করে। হাজার হাজার উত্তেজিত মোটরসাইকেল চালক এবং বাসচালক ক্যান্ডি শহরের সঙ্গে রাজধানী কলম্বোর সংযোগ স্থাপনকারী হাইওয়েতে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ তৈরি করেন। আজ বুধবার এই খবর প্রকাশ করেছে বিবিসি। দেশটির পুলিশের মুখপাত্র নিহাল তালদুওয়া বিবিসিকে বলেছেন, বিক্ষোভকারীদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ ‘গুলি করতে বাধ্য’ হয়। বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ও অন্যান্য বস্তু ছুড়েছে। এতে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। কিন্তু পাথরের প্রতিক্রিয়ায় গুলি ছোড়াকে কোনোভাবে মানতে পারছেন না দেশটির সাধারণ মানুষ। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, আহত বিক্ষোভকারীদের মধ্যে অন্তত তিনজনের অবস্থা গুরুতর। এদিকে বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলির ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে শ্রীলঙ্কায় নিয়োজিত জাতিসংঘের প্রতিনিধি। এ ছাড়া ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে দেশটিতে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দূতরা। প্রসঙ্গত, ১৯৪৮ সালে ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা পাওয়ার পর শ্রীলঙ্কা বর্তমানে সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট পার করছে। গুরুত্বপূর্ণ পণ্য আমদানির অর্থ না থাকায় সংকট দ্রুত ঘনীভূত হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় নিত্যপণ্যের মূল্য আকাশচুম্বী হয়ে পড়ে এবং জ্বালানি, ওষধু এবং বিদ্যুতের তীব্র সংকট দেখা দেয়। এতে হাজার হাজার শ্রীলঙ্কান রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করতে থাকেন। বিক্ষোভকারীরা দেশটির প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের পদত্যাগ দাবি করেন। বিক্ষোভকারীরা বলছেন, প্রেসিডেন্টের নীতির কারণেই এই সংকট তৈরি হয়েছে। তবে প্রেসিডেন্ট পদত্যাগে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। গোতাবায়া রাজাপাকসে স্বীকার করেছেন তিনি বেশকিছু ‘ভুল’ করেছেন যা পরিস্থিতিকে খারাপের দিকে নিয়ে যেতে ভূমিকা রেখেছে। চলমান সংকটের মধ্যেই ১৮ এপ্রিল নতুন করে মন্ত্রিসভা গঠিত হয়েছে। নতুন মন্ত্রিসভায় তাকে রাখায় অনেক শ্রীলঙ্কানকে বিক্ষুব্ধ করেছে। |