শিরোনাম: |
টিকিটের জন্য রাতভর লাইনে নারীরাও
|
![]() রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকায় ছোট বোন জান্নাতুল জুঁইকে নিয়ে থাকেন স্মৃতি আক্তার। ঈদের ছুটিতে বোনকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রাম যাবেন তিনি। দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে এখন ক্লান্ত তিনি। টিকিটের অব্যবস্থাপনা নিয়ে ক্ষোভ জানিয়ে স্মৃতি বলেন, এখানে সবাই লাইন মানছে না। পুলিশও কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না। সব মিলিয়ে খুবই বাজে একটা অবস্থা এখানে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, টিকিট দিতেও দেরি করছে কাউন্টারগুলো। তিন ঘণ্টায়ও লাইন বেশিদূর এগোয়নি। টিকিটপ্রত্যাশী আয়েশা সিদ্দিকা এশা বলেন, গতকাল রাত ১১টায় মহাখালী থেকে এসে লাইনে দাঁড়িয়েছি। এখন সাড়ে ১০টা (সকাল) বাজে। এখনো বেশ কয়েকজন সামনে আছে। রংপুরে যাবো ঈদ করতে। কিন্তু টিকিট কাটতে এসেই এতো ভোগান্তিতে পড়েছি। সেহরি এখানেই করতে হয়েছে। টিকিট দিতেও অনেক দেরি করছে কাউন্টারে, অভিযোগ জানালেন এশা। একই অভিযোগ জানিয়ে লাইনে থাকা আরেক নারী বলেন, স্বামীকে নিয়ে গতকাল রাতে এসে লাইনে দাঁড়িয়েছি। নারীদের লাইনও এতো দীর্ঘ হবে জানতাম না। এদিকে, টিকিট পেতে দেরি হওয়ার বিষয়ে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেন, এবারই প্রথম জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে টিকিট দেওয়া হচ্ছে। তাই টিকিট দিতে কিছুটা ধীরগতি হচ্ছে। তারপরেও আমরা চেষ্টা করছি যাত্রীরা যেন টিকিটগুলো পান। |