শিরোনাম: |
অর্থপাচার: এনু-রুপনসহ ১১ আসামির ৭ বছর করে কারাদণ্ড
|
![]() সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকার পাঁচ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইকবাল হোসেনের আদালতে এ রায় ঘোষণা করা হয়। পাঁচ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের পিপি শওকত আলম এই রায় ঘোষণায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তবে রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন আসাপক্ষের আইনজীবী এহসানুল হক সমাধি। তিনি সমকালকে বলেছেন, ‘এই মামলায় যেসব তথ্য প্রমাণ হাজির করা হয়েছে- তাতে আসামিদের খালাস হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আদালত তাদের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়েছেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।’ এর আগে গত ৬ এপ্রিল বিচারক মোহাম্মদ ইকবাল হোসেনের আদালতে এ মামলার রায় ঘোষণার জন্য নির্ধারিত ছিল। কিন্তু বিচারক ছুটিতে থাকায় রায়ের জন্য পরবর্তী দিন ঠিক করেন। গত ১৬ মার্চ উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে এ দিন ধার্য করেছিলেন আদালত। জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের ক্যাসিনো খেলা পরিচালনাকারী এনুর কর্মচারী আবুল কালাম আজাদের ওয়ারীর লালমোহন সাহা স্ট্রিটের বাড়ি ঘেরাও করে র্যাব। কালামের স্ত্রী ও মেয়ের দেখানো চতুর্থ তলার বাড়ির দ্বিতীয় তলা থেকে দুই কোটি টাকা উদ্ধার করে র্যাব। এ ঘটনায় র্যাব-৩ এর পুলিশ পরিদর্শক জিয়াউল হাসান ওই বছর ২৫ নভেম্বর ওয়ারী থানায় অর্থপাচার আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলা তদন্ত করে ২০২০ সালের ২১ জুলাই ১১ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করে সিআইডি পুলিশ। পরে গত বছরের ৫ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত। মামলার অপর আসামিরা হলেন- মেরাজুল হক ভূঁইয়া শিপলু, রশিদুল হক ভূঁইয়া, সহিদুল হক ভূঁইয়া, জয় গোপাল সরকার, পাভেল রহমান, তুহিন মুন্সি, আবুল কালাম আজাদ, নবীর হোসেন শিকদার ও সাইফুল ইসলাম। এদের মধ্যে শিপলু, রশিদুল, সহিদুল ও পাভেল মামলার শুরু থেকে পলাতক রয়েছেন। তুহিন জামিনে আছেন। অন্য ৬ আসামি কারাগারে আছেন। মামলাটির বিচার চলাকালে ২০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। অর্থপাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিভিন্ন থানায় তাদের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা হয়। |