শিরোনাম: |
সামান্থার পাশে প্রাক্তন স্বামী, দুজনের সম্পর্কের বরফ গলবে?
|
![]() একটা সময় দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম আদর্শ দম্পতি ছিলেন সামান্থা রুথ প্রভু-নাগা চৈতন্য। তবে গত বছর অক্টোবরে সবাইকে অবাক করে বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা দেন দুজনের। চার বছরের দাম্পত্য সম্পর্কে ইতি টেনে আলাদা পথে চলতে থাকেন তারা। এরপর দীর্ঘদিন বিষণ্নতায় ভোগের সামান্থা। সামান্থার শারীরিক অবস্থা জানার পর ইন্ডাস্ট্রির বন্ধুরা তার পাশে দাঁড়িয়েছেন। প্রকাশ্যে নাগার সৎভাই আক্কিনেনি সামান্থার আরোগ্য কামনা করেন। তার পর থেকেই জল্পনা চলছিল এবার কি নাগা-সামান্থার বরফ জমাট সম্পর্ক গলবে? ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে, সামান্থার স্বাস্থ্য নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন নাগা। সাবেক স্ত্রীর শারীরিক পরিস্থিতির খোঁজখবর নিতে ফোন করেন নাগা। খুব শিগগির স্যামের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছেও নাকি প্রকাশ করেছেন নার্গাজুনের ছেলে। অনুরাগীদের চাওয়া সামান্থার এ কঠিন সময়ে পাশে থাকুক নাগা। প্রেম সম্পর্ক জোড়া না লাগলেও অন্তত দুজনের মধ্যে যেন বন্ধুত্বের সম্পর্কটা অটুট থাকে এমনটিই চান তারা। মায়োসাইটিস কী? এই অটোইমিউন রোগে পেশি আবৃত কোষগুলোতে প্রদাহ দেখা যায়। এতে ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া ও ব্যথা, পিঠের নিচের দিকে ব্যথা এবং হাঁটুতে ব্যথা বেড়ে যায়। রোগীর হাঁটতে সমস্যা দেখা যায়, শরীরে ক্লান্তি আসে এবং শ্বাসকষ্ট পর্যন্ত দেখা যায়। অসুস্থতার কথা জানিয়ে গত ২৯ অক্টোবর সামান্থা ইনস্টাগ্রামে লেখেন— মাস কয়েক আগে আমি মায়োসাইটিস নামক একটি অটোইমিউন রোগে আক্রান্ত হয়েছি। ভেবেছিলাম এ সমস্যাটা একটু লাঘব হলে তোমাদের জানাব, তবে একটু বেশিই সময় লাগছে। এর পর সামান্থা যোগ করেন, ‘আমাকে মনে হলো সবসময় নিজেকে শক্তিশালী হিসাবে তুলে ধরার দরকার পড়ে না। নিজের দুর্বলতাকে স্বীকার করে নেওয়াটা এমন একটি বিষয়, যার সঙ্গে আমি এখনো লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। চিকিৎসকরা আশাবাদী আমি খুব শিগগির সেরে উঠব। আমার ভালো দিন যাচ্ছে, খারাপ দিন যাচ্ছে— শারীরিক ও মানসিকভাবে। মাঝেমধ্যে মনে হচ্ছে আর একটি দিনও আমি সহ্য করতে পারব না। তখনই দেখছি সেই মুহূর্তটা কেটে যাচ্ছে, আমার মন বলছে— আমি সুস্থতার পথে আরও একটু এগিয়ে গেলাম। অনেক ভালোবাসা সবাইকে’। |