শিরোনাম: |
দেশে মেসিদের বরণে লাখো মানুষ
|
![]() এদিকে মেসিরা ট্রফি জয়ের পর নিজের দেশে ফেরার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিল। কারণ তাদের কানে খবর চলে গিয়েছিল তাদের জন্য ভক্তরা অপেক্ষা করছেন দেশে। তাই কোনো ভাবে রোববার রাত পার করে সোমবারই বিমানে চড়ে বসে। এদিকে তারা মধ্যরাতে দেশে নামবে তাই ভক্তরাও অপেক্ষা করছিল। এছাড়া তাদের উদযাপনে যাতে সমস্যা না হয় তাই দেশের প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্ডেজ মঙ্গলবার সারাদেশে সরকারি ছুটিও ঘোষণা করেন। মেসিরা নামবে তাই রাত থেকে বুয়েন্স আয়ার্সের বিমানবন্দরের বাইরে লাখো মানুষ ভিড় করতে শুরু করে। সবাই একটিবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের চোখের দেখা দেখতে চান। ছুঁয়ে দেখতে চান। বিশ্বজয়ী দল বিমানে করে এসে নামলেন, তখনো দিনের আলো ফোটেনি। তখনো লাখো মানুষের ভিড়। এদিকে খেলোয়াড়দের আগে কাতার থেকে আলাদা বিমানে দেশে ফিরেছেন তাদের পরিবারের সদস্যরা। আসল বিমান, নামল বিশ্বজয়ীরা, লাল কার্পেটে হেঁটে বিমানবন্দর থেকে বেরোলেন তারা। তখনো বিমানবন্দরের বাইরে দাঁড়ান লাখো মানুষ, তারা মেসিদের স্বাগতম জানাতে চিত্কার করে গেয়ে চলেছিলেন ফ্যানদের আনঅফিশিয়াল অ্যানথেম। সে সময় বাইরে মেসিদের জন্য অপেক্ষা করছিল হুডখোলা বাস। এজেইজা বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে ট্রফি হাতে তাতে চেপেই শহর প্রদক্ষিণ করেন লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা। ফুটবলাররা মোবাইলে বন্দি রাখলেন মুহূর্তগুলো। অনুরাগীরাও নায়কদের মুঠোবন্দি করতে ব্যস্ত। সেই বাস গিয়ে পৌঁছায় রাজধানীর বিখ্যাত ওবেলিক্স মনুমেন্টের নিচে। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বরণ করে নেওয়ার পর দেওয়া হবে সংবর্ধনা। এর আগে আর্জেন্টিনা সরকারের তরফে মেসিদের কাসা রোসাডায় রাষ্ট্রপতি ভবনে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। রাষ্ট্রপতি ভবনের বারান্দা থেকে বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে পোজ দিয়েছিলেন দিয়েগো মারাদোনারা। কিন্তু মেসিদের ক্ষেত্রে এএফএ রাজি হয়নি। কারণ সাধারণের ভিড়ে মিশে গিয়ে আনন্দ উত্সবে মেতে উঠতে চান বিশ্বজয়ীরা। এদিকে আর্জেন্টিনায় পৌঁছে মেসিরা কীভাবে উৎসব করবেন তা আগে থেকে ঠিক করে নিয়েছে দেশটির ফুটবল ফেডারেশন। তারা টুইট করে জানিয়েছিল, ‘মঙ্গলবার বুয়েন্স আয়ার্সের ওবেলিসকে গিয়ে উৎসব করবে বিশ্বকাপজয়ী ফুটবল দল। সেখানে উপস্থিত থাকবেন সমর্থকরাও।’ ইত্তেফাক/এসএস |