শিরোনাম: |
ফুটবলের বাইরে যে ইচ্ছেটা পূরণ হয়নি পেলের
|
![]() বাদাম বিক্রি করতে পেলের নিয়মিত যাতায়াত ছিল বাউরুর বিমানবন্দরে। সেখানে উড়তে থাকা বিমানকে দেখে তার মনে পাইলট হওয়ার বাসনা জাগে। তবে স্বপ্নটা অঙ্কুরেই ঝড়ে যায় ১৯৪০ সালে একটি গ্লাইডার বিমান দুর্ঘটনা ও একজনের নিহত হওয়ার ঘটনায়। ৮২ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি জমানো পেলে একবার সাক্ষাৎকারেও বলেছিলেন, 'সত্যি করে বলতে আমার তখন ৯ বছর বয়স। আমি তখন পাইলট হতে চাইতাম। এটা আমার স্বপ্ন ছিল। আমি উড়তে চাইতাম।' ১৯৫০ বিশ্বকাপে মারাকানার ঘটনার পর পেলের জীবনে ফুটবলই হয়ে দাঁড়ায় সব। ১৯৫০ সালের মারাকানার ঘটনা ব্রাজিলিয়ানদের কাছে পরিচিত হয়ে উঠে জাতীয় ট্র্যাজেডি নামে। ফাইনালে স্বাগতিক হয়েও উরুগুয়ের কাছে ২-১ গোলে হেরে শিরোপা বঞ্চিত হতে হয় তাদের। ব্রাজিলিয়ানদের সেই ট্রাজেডির অন্য নাম মারাকানাজো। সেই হারে কেঁদে বুক ভাসিয়েছিলেন পেলের বাবা। বাবাকে কাঁদতে দেখার সেই দৃশ্য তার ভেতর তৈরি করেছিল দৃঢ় প্রতিজ্ঞা। পেলে বলেছিলেন, সেবার প্রথম আমি আমার বাবাকে কাঁদতে দেখেছিলাম। আমার মনে আছে, তাকে বলেছিলাম: 'কেঁদো না বাবা, আমি তোমার জন্য বিশ্বকাপ জিতব।' ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি অবশ্য এটাও স্বীকার করেছিলেন যে বাবাকে আসলে তিনি সান্ত্বনা দেয়ার ব্যর্থ চেষ্টাই অল্প বয়সে করেছিলেন। কারণ বাবাকে কাঁদতে দেখার মুহূর্তে কী বলবেন বালক পেলে তা বুঝে উঠতে পারছিলেন না। ফুটবল ঈশ্বর অবশ্য নয় বছরের সেই বালকের মুখ থেকে বের হওয়া কথাটাকেই যেন নিয়তির লিখন বানিয়ে ছাড়লেন। আট বছর পর ১৯৫৮ ব্রাজিল বিশ্বকাপ স্কোয়াডে ডাক পেলেন কালো মানিক খ্যাত ফুটবলার। ১৭ বছর বয়সে ৬ গোল করে বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় হয়ে নিজের দেশকে এনে দিয়েছেন প্রথম শিরোপা। সর্বকনিষ্ঠ কারো বিশ্বকাপ জয়ের এই রেকর্ড এখনও টিকে আছে। |