শিরোনাম: |
শ্রীলঙ্কাকে বিধ্বস্ত করে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতলো নিউজিল্যান্ড
|
![]() এদিন টস জিতে লংকানদের ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রন জানান নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক টম ল্যাথাম। এ ম্যাচে উদ্বোধনী জুটিতে তোলে ৭৬ রান তোলে নিশানকা ও মেন্ডিস। তবে কুসাল মেন্ডিস ঝড় তুললেও পাথুম নিশানকা মেটাতে পারেননি পরিস্থিতির দাবি। দশম ওভারে তিনি আউট হন ২৫ বলে ২৫ রান করে। শ্রীলঙ্কার রানের গতি বাড়ে পরের জুটিতেই। কুসাল মেন্ডিস ও কুসাল পেরেরা মাত্র ৪.২ ওভারে ৪৬ রান যোগ করেন। ৬ চার ও ৫ ছক্কায় ৪৮ বলে ৭৩ করে বিদায় নেন মেন্ডিস। এরপরইরান আউট হন পেরার। সাজঘরে ফেরার আগে ২১ বলে ৩৩ করেন তিনি। এরপর ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ৯ বলে ২০ রান করলেও শেষ দিকে দ্রুত কিছু উইকেট হারায় লংকানরা। শেষ ওভার থেকে আসে স্রেফ রান। এতে ১৮২ রানে থেমে যায় সফরকারীরা। এদিন নিউজিল্যান্ডের হয়ে দুই উইকেট শিকার করেন বেন লিস্টার। এছাড়াও অ্যাডাম মিলান ও ইস শোধি একটি করে উইকেট তুলে নেন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ঝোড়ো শুরু করেন কিউই ব্যাটাররা। ৫.৩ ওভারেই ৫৩ রান তোলেন বাওয়েস ও সেইফার্ট জুটি। অবশ্য এখানেই থামতে হয় বাওয়েসকে। সাজঘরে ফেরার আগে ১৮ বলে ১৭ করেন। সেইফার্ট তখন খেলছেন ১৫ বলে ৩৬ রানে। পরের জুটির শুরুতেও একই অবস্থা। অধিনায়ক টম ল্যাথামের কাজ ছিল স্ট্রাইক দেওয়া, সেইফার্টের ব্যাট ছিল উত্তাল। হাসারাঙ্গাকে ছক্কায় উড়িয়ে ২৬ বলেই ফিফটিতে পৌঁছে যান তিনি। ফিফটির পরও তিনি ছুটতে থাকেন সেইফার্ট। তার সঙ্গে ল্যাথামও বাড়ান রানের গতি। ৫২ বলে ৮৪ রানে থামে এই জুটি। ২৩ বলে ৩১ রান করে ল্যাথাম বিদায় নেন মাহিস থিকসানার ক্যারম বলে। তারপরও নিউজিল্যান্ডের কোনো বিপদ বোঝা যায়নি, সাইফার্ট যে ছিলেন! ল্যাথামের বিদায়ের পরের ওভারেই হাসারাঙ্গাকে টানা দুটি বাউন্ডারিতে নিজের আগের সেরা ৮৪ পেরিয়ে যান তিনি। তবে সেঞ্চুরি আর পাওয়া হয়নি। মাদুশানের স্লোয়ারে আউট হন ১০ চার ও ৩ ছক্কায় ৮৮ করে। নতুন ব্যাটসম্যান চাপম্যান ক্রিজে গিয়ে প্রথম বলেই মারেন বাউন্ডারি। ২২ বলে লাগে তখন মাত্র ২৫ রান। কিন্তু সেই পথটুকু মসৃণ হয়নি তাদের। সহজ পথ কঠিন বানিয়ে তবেই জিততে পারে তারা। এদিন শ্রীলংকা হয়ে লাহিরু কুমারা নিয়েছেন তিন উইকেট। এছাড়া মাদুশানা ও থিকশানা শিকার করেছেন একটি করে উইকেট। |