শিরোনাম: |
ইসির সঙ্গে বৈঠক
`ভোট দিতে বাধা ও বাধ্য করা- দুটোই মানবাধিকার লঙ্ঘন'
|
![]() মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, বিশ্বের কোন কোন দেশ আছে যেখানে ভোট দেওয়া বাধ্যতামূলক, যেমন নিউজিল্যান্ড। কিন্তু আমাদের দেশে সে ধরনের নিয়ম নেই, সে কারণে আমি বলবো কেউ যদি ভোট না দিতে যায় তাহলে সেটা তার ইচ্ছা। কিন্তু কেউ যদি দিতে চায় তাকে বাধা দেওয়াও অনুচিত, আইনের বরখেলাপ এবং এটা মানবাধিকার লঙ্ঘন। একই সঙ্গে কাউকে যদি ভোট দিতে বাধ্য করা হয় মানবাধিকার লঙ্ঘন। বিএনপির নির্বাচনে না আসার বিষয়ে কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, সাংবিধানিক দায়িত্বের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। কেউ যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে, সেক্ষেত্রে তিনি তার অধিকার ক্ষুণ্ন করলেন। কিন্তু এতে নিরপেক্ষতার ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব পড়বে না। তবে তাদের আহ্বান জানানো উচিত। বিএনপিকে আহ্বান জানানোও হয়েছে, কিন্তু নির্বাচনে না এলে কিছু করার নেই। বৈঠকের বিষয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন একটি অধিকার, আমাদের সবার সাংবিধানিকভাবে আন্তর্জাতিক দলিল মোতাবেক নির্বাচন করা এবং নির্বাচিত হওয়া দেশের নাগরিকের অধিকার। সে অধিকারটি যাতে সঠিকভাবে প্রয়োগ করা যায় এবং দেশের একটি সুন্দর নির্বাচন সম্পন্ন হয় সে বিষয়ে আলোচনার জন্য আমরা আজকে নির্বাচন কমিশনে এসেছিলাম। তিনি আরও বলেন, বৈঠকে বিশেষত নির্বাচনপূর্ব সময়ে আচরণ এবং কার্যক্রম, নির্বাচন সময়কার আচরণ এবং নির্বাচন পরবর্তী সময়ের আচরণের বিষয়ে আলোচনা করেছি। এর উদ্দেশ্য ছিল, আমরা অনেক সময় দেখেছি নির্বাচনি আচরণবিধি ভঙ্গ করে রাতে, কর্মীরা বিভিন্ন রকমের উত্তেজনা সৃষ্টি করে এবং মানুষের আস্থা অর্জনে ব্যাহত হয়, সে ধরনের কিছু যেন না হয়। অনেক সময় অনেক ধরনের উত্তেজনার সৃষ্টি করা হয়, বিশেষ করে যারা সংখ্যালঘু, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্য অথবা পঙ্গু বা প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, তাদের ক্ষেত্রে অনেক ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়। সেগুলো যেন না হয় এবং প্রত্যেক প্রার্থী যাতে নিজের ভোট নিজে দিতে পারে, তা নিশ্চিতের জন্য আমরা বলেছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেন সেক্ষেত্রে যথাযথ ভূমিকা পালন করে সেটা আমরা স্মরণ করে দিয়েছি এদিন সকালে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে আট সদস্যের প্রতিনিধি দল সিইসি ও কমিশনের অন্য কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করে। বৈঠকে কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশনের কাছে নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণায় প্রার্থীদের আচরণবিধি লঙ্ঘনসহ নানান বিষয় তুলে ধরে মানবাধিকার কমিশন। |