শিরোনাম: |
রাঙামাটিতে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার, দ্বিতীয় দিনের মতো অবরোধ চলছে
|
বর্তমান প্রতিবেদক: রাঙামাটি শহরে জেলা প্রশাসনের জারি করা ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে শহরের বিভিন্ন স্থানে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন রয়েছে।
অন্যদিকে পাহাড়িদের ওপর হামলা, খুন, বৌদ্ধ বিহার ও ঘরবাড়িতে অগ্নসিংযোগের ঘটনার প্রতিবাদে ইউপিডিএফে’র ডাকা ৭২ ঘণ্টার সড়ক ও নৌপথ অবরোধ চলছে। ফলে রাঙামামাটি-নানিয়ারচ-মহালছড়ি-খাগড়াছড়ি সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। শনিবার থেকে অবরোধ শুরু হয়। অবরোধে সাজেকে আটকা পড়েছেন প্রায় দেড় হাজার পর্যটক। খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে পাহাড়িদের ওপর হামলা, খুন, বৌদ্ধ বিহার ও ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) ৭২ ঘণ্টার সড়ক ও নৌপথে অবরোধ ডাকে। গতকাল শনিবার থেকে শুরু হয় এই অবরোধ। ইউপিডিএফের সহযোগী সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম বৃহত্তর পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের জেলা শাখার সভাপতি তনুময় চাকমা জানান, রাঙামাটি জেলায় শান্তিপূর্ণভাবে সড়ক ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। এদিকে জেলা প্রশাসনের জারি করা রাঙামাটি শহরে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে রাস্তাঘাটে লোকজনের চলাচল সীমিত রয়েছে। অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। ঘটনার তৃতীয় দিনেও রাঙামাটি শহরের মানুষের মাঝে আতঙ্ক কাটেনি। আজ সকালে শহরের বনরুপা এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন রাঙামাটি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শওকত ওসমান, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান, জেলা পুলিশ সুপার এসএম ফরহাদ হোসেনসহ প্রশাসনের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তরা। এ সময় তারা ক্ষতিগ্রস্ত ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান জানিয়েছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসায় রাঙামাটি শহরে জারি করা ১৪৪ ধারা আজ রোববার সকাল ১১টা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। |