শিরোনাম: |
নারায়নগঞ্জ সাত খুন তদন্ত কর্মকর্তাসহ ৫ পুলিশের সাক্ষ্য
|
![]() বিচারক পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করেন আগামী ২২ আগষ্ট। ওই তারিখে মামলার শেষ এবং অভিযোগপত্র দাখিলকারী তদন্ত কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ মণ্ডলের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে। মামলার প্রথম তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার এসআই ফজলুল হক তালুকদার বেশ কিছুদিন আগেই মারা গেছেন। সাক্ষ্য প্রদান করা পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তারা হলেন, সাত খুন মামলার দ্বিতীয় তদন্ত কর্মকর্তা নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সাবেক ওসি (তদন্ত) বর্তমানে কুমিল্লার দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার ওসি আবদুল আউয়াল, ভোলার বোরহান উদ্দিন থানার এসআই বর্তমানে চট্টগ্রামের বোয়ালিয়া থানায় কর্মরত আবুল খায়ের, পিরোজপুর থানার ঝাউখালি থানার এসআই মহিববুল্লাহ, নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এএসআই হারুন মিয়া এবং নাটোর জেলার গুরুদাসপুর থানার এএসআই বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দর ফাঁড়িতে কর্মরত আতাউর রহমান। এ নিয়ে ২৫ কার্য দিবসে ১০৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হলো। আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকন বলেন, মঙ্গলবার মামলার দ্বিতীয় তদন্ত কর্মকর্তাসহ পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তা আদালতে তাদের সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ফজলুর রহমান ইতিমধ্যেই মারা গেছেন। আগামী তারিখে মামলার শেষ এবং অভিযোগপত্র দাখিলকারী তদন্ত কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ মণ্ডলের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামের সামনে থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাসহ সাত জনকে অপহরণ করা হয়। তিন দিন পর ৩০ এপ্রিল চয় জনের লাশ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে উদ্ধার করা হয়। পরদিন ১ মে আরো একজনের লাশ একই স্থান থেকে উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় নিহত নজরুল ইসলাম ও তার চার সহযোগী হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি বাদী হয়ে একটি এবং সিনিয়র আইনজীবী চন্দন সরকার ও তার গাড়ির চালক ইব্রাহিম হত্যার ঘটনায় তার জামাতা বিজয় কুমার পাল বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় আরেকটি মামলা দায়ের করেন। প্রায় এক বছর তদন্ত শেষে ৩৫ জনকে আসামি করে ২০১৫ সালের ৮ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। রিপোর্ট-কায়েস |