শিরোনাম: |
কুমিল্লাকে হারিয়ে বরিশালের প্রথম জয়
|
![]() টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে কুমিল্লা করে ৮ উইকেটে ১২৯ রান। জবাবে ১৮.৩ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বরিশাল বুলস। জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৯ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় বরিশাল বুলস। ১৯ বলে ব্যক্তিগত ১৫ রান করে ইমাদ ওয়াসিমের বলে স্যামুয়েলসের হাতে ধরা পড়েন বরিশালের লঙ্কান ওপেনার দিলশান মুনাবিরা। এরপর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে শামসুর রহমান ও মালান হাল ধরার চেষ্টা করেন। এই জুটি থেকে আসে ২৯ রান। ২৬ বলে ১৬ রান করে নাবিল সামাদের বলে ইমাদ ওয়াসিমের হাতে ধরা পড়েন শামসুর রহমান শুভ। বরিশালের দলীয় স্কোর তখন ২ উইকেটে ৪৮ রান। মালানের সঙ্গে এরপর জুটি বাঁধেন অধিনায়ক মুশফিক। তবে দ্রুতই এ জুটি বিচ্ছিন্ন করেন কুমিল্লার মোহাম্মদ শরীফ। ১২.৪ ওভারের মাথায় শরীফের বলে মাশরাফির ক্যাচে পরিণত হন ডেভিড মালান। তবে সাজঘরে ফেরত যাওয়ার আগে মালান করে যান ২৩ বলে ২৬ রানের কার্যকরী ইনিংস। যেখানে ছিল তিনটি চারের মার। এরপর পেরেরার সঙ্গে জুটিবদ্ধ হন মুশফিক। এই জুটি প্রায় জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যান দলকে। চতুর্থ উইকেট জুটিতে এরা যোগ করেন ৪৩ রান। তবে হঠাত্ই আউট অধিনায়ক মুশফিক। সোহেল তানভিরের বলে উইকেটের পেছনে লিটনের গ্লাভসে ধরা পড়েন তিনি। তবে তার আগে করে যান ২৩ বলে ৩৩ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস। যার মধ্যে ছিল দুটি করে চার ও ছক্কা। তবে জয়ের জন্য বাকি কাজটুকু করেছেন পেরেরা শাহরিয়ার নাফিসকে সঙ্গে নিয়ে। ২০ বলে দলীয় সর্বোচ্চ ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন দিলশান পেরেরা। যার মধ্যে ছিল তিনটি চার ও একটি ছক্কার মার। নাফিস এক বলে এক রানে ছিলেন অপরাজিত। কুমিল্লার হয়ে একটি করে উইকেট লাভ করেন সোহেল তানভির, নাবিল সামাদ, ইমাদ ওয়াসিম ও মোহাম্মদ শরীফ। এর আগে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১২৯ রান সংগ্রহ করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই চাপে ছিল কুমিল্লা। ব্যাট হাতে দেশি কোনো ক্রিকেটার জ্বলে উঠতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের মারলন স্যামুয়েলস ও পাকিস্তানি পেসার সোহেল তানভিরের কল্যাণে ভদ্রস্থ স্কোর গড়তে পারে কুমিল্লা (৮ উইকেটে ১২৯)। ৪৮ বলে ৫ চারে স্যামুয়েলস করেন সর্বোচ্চ ৪৮। সোহেল তানভির অপরাজিত থাকেন ৩০ রানে। তার ইনিংসে ছিল তিনটি ছক্কার মার। এছাড়া শান্ত ১৬ ও খালিদ লতিফ ১২ রান করেন। ব্যাট হাতে ব্যর্থ ওপেনার ইমরুল কায়েস। দুই বলে শূন্য রান করা কায়েস বোল্ড হন তাইজুলের বলে। আগের ম্যাচের মতো এবারও ব্যাট হাতে ব্যর্থ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। তিন বলে দুই রান করে আবু হায়দার রনির বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন নড়াইল এক্সপ্রেস। বরিশালের হয়ে আবু হায়দার রনি দুটি, তাইজুল, আল আমিন, পেরেরা ও এমরিট একটি করে উইকেট লাভ করেন। |