শিরোনাম: |
তুরস্কে অবশেষে ধর্ষণ সংক্রান্ত বিল প্রত্যাহার
|
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাতে বিতর্কিত বিলটি উত্থাপন করা হলে দেশটির ক্ষমতাসীন দল একে পার্টির এমপিরা তাতে প্রাথমিকভাবে সমর্থন জানিয়েছিলেন। প্রস্তাবিত ওই বিলে বলা হয়েছিল, অভিযুক্ত ব্যক্তি ধর্ষণের শিকার শিশুকে বিয়ে করলে তার সাজা মওকুফ করা হবে এবং তার বিচার খারিজ হয়ে যাবে। বিতর্কিত বিলটি নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুমুল সমালোচনার ঝড় ওঠে। সমালোচকদের মতে, বিতর্কিত বিলটি আইনে পরিণত হলে তা সংবিধিবদ্ধ ধর্ষণকে বৈধতা দেবে এবং বাল্যবিয়ের চর্চা বাড়বে। জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকেও বিলটি অনুমোদন না করার জন্য তুরস্ক সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। এ বিলটি আইনে পরিণত হলে যৌন নিপীড়ন ও বাল্যবিয়ে বিরোধী লড়াইয়ে হিমশিম খাবে তুরস্ক সরকার। তুরস্কের মানবাধিকার এবং নারী অধিকার সংগঠনগুলো এই প্রস্তাবিত আইনের তীব্র সমালোচনা করেন। তারা বলেন, এই আইনের মানে দাঁড়াবে ধর্ষণকে আইনি বৈধতা দেয়া। এমন প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার তুরস্ক সরকারের পক্ষ থেকে বিলটি প্রত্যাহার করে নেয়া হলো। ইলদিরিম জানান, বড় ধরনের ঐকমত্য গড়ে তুলতে এবং বিরোধী দলগুলোকে তাদের প্রস্তাবগুলো সমৃদ্ধ করার জন্য সময় দিয়ে বিলটি ফেরত পাঠানো হয়েছে। বিরোধী দলগুলো বিলটির তুমুল সমালোচনা করেছিল। তুরস্কে বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর হলেও দেশটিতে প্রচুর বাল্যবিয়ে হয়ে থাকে। সূত্র : বিবিসি |