শুক্রবার ২ মে ২০২৫ ১৯ বৈশাখ ১৪৩২
পর্যটনের অপার সম্ভাবনা ভোলার তাড়ুয়া সমুদ্র সৈকত
Published : Monday, 5 December, 2016 at 6:00 AM, Update: 05.12.2016 8:11:23 PM, Count : 435

ভোলা প্রতিনিধি : অতিথি পাখির কলতানে মুখর ভোলার তাড়ুয়া সমুদ্র সৈকত। শীতের আগমনে ভোলার বৃহত্তম উপজেলা চরফ্যাশনের ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল ঢালচর, কুকরি-মুকরি ও পর্যটন কেন্দ্র তাড়ুয়া সমুদ্র সৈকতে বসেছে পাখিদের হাট।

বিচিত্র পাখ-পাখালির মধুময় কলতানে মুখরিত হয়ে উঠেছে এখানকার জনপদ। বছর জুড়ে তাড়ুয়ার ৭ কিলোমিটার বিচ জুরে হরেক রকম পাখির কল কাকলিতে সরব থাকলেও, শীতে যেন নতুন প্রাণ পায় এ অঞ্চলের পাখিরা। আবার এদের সঙ্গে যোগ হয় সাইব্রেরিয়াসহ পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চল থেকে আগত পাখির দল। ইতোমধ্যে হাজারও প্রকৃতি প্রেমীকে আকৃষ্ট করেছে তাড়ুয়া বিচের বিচিত্র বর্ণিল অতিথি পাখিরা।

উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরত্বে ঢালচর ইউনিয়ন। বঙ্গোপসাগর কোল ঘেঁষে ঢালচর থেকে পূর্ব দিকে চর শাহজালাল ও চর আশরাফের তাড়ুয়া সমুদ্র সৈকত। জন-মানবহীন গহীন অরণ্যাবৃত তাড়ুয়ার বিচ যেন পাখিদের এক সবুজ অভয়ারণ্য। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে অপরূপ সুন্দর এ চরাঞ্চলটিকে ঘিরে রেখেছে জলদস্যুরা।

নাছির, মালেক, শাহাবুদ্দিন, রহিজল ও মোতালেব নামের কয়েকজন জেলে জানান, মনপুরা কালকিনি, নিঝুম দ্বীপসহ আশপাশের নদীতে ডাকাতি করে এখানে এসে আশ্রয় নেয় জলদস্যুরা। তাড়ুয়ার নির্জন বনটিকে জলদস্যুরা নিরাপদ রুট হিসেবে ব্যবহার করে। ফলে পর্যটকরা বরাবরই এ অঞ্চলটিকে এড়িয়ে চলে। এ ব্যাপারে নানা অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও এখানে আইনশৃঙ্খলার কোনো উন্নতি হয়নি। ফলে সর্বদাই এক ধরনের অজানা আতঙ্ক বিরাজ করে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের বিভিন্ন মিডিয়ায় তাড়ুয়া কুকরি-মুকরি দ্বীপ নিয়ে প্রাকৃতিক মনোরম দৃশ্যসহ অতিথি পাখির সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর পর্যটন পিপাসুরা অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি এ বিচে আসতে শুরু করে।

কুকরি ও তাড়ুয়াতে অতি সম্প্রতি ভ্রমণে আসা প্রকৃতি প্রেমী বন সংরক্ষক সুনিল কুমার কুণ্ড জানান, ভোলার চরফ্যাশনে তাড়ুয়া দ্বীপে হাজার হাজার পাখির বিচরণক্ষেত্র। দেশে এমন দৃশ্য বিরল।

চরফ্যাশন থেকে ছেড়ে চর কচ্ছপিয়া থেকে বিভিন্ন ধরনের নৌকায় সহজে যাওয়া যায় তুড়য়ার দ্বীপে। কুকরি-মুকরি বালুর ধুম অভিমুখে নদীর স্বচ্ছ জলরেখায় সূর্যের আলোতে নীলাকাশ পানিতে যেন থই থই করছে আর চারদিকে সারি সারি ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলের অপরূপ দৃশ্য প্রকৃতির এক অপরূপ লীলাভূমি।

পর্যটন দ্বীপ কুকরি-মুকরি ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ আবুল হাসেম মহাজন জানান, কুকরিতে পূর্ণাঙ্গ পর্যটনের ঘোষণা আগামী জানুয়ারিতেই আসতে পারে। ইতোমধ্যে পর্যটনদের থাকার জন্যে ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি আধুনিক মোটেল জানুয়ারির ২য় সপ্তাহে বন ও পরিবেশ উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব উদ্বোধন করবেন।

এছাড়া পাখির বিচরণ কেন্দ্র জনমানবহীন তাড়ুয়া পর্যটন এলাকায় সরকারিভাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হলে পর্যটকদের আরও সমাগম হইবে। শীতের এ মৌসুমে পর্যটন পিপাসুরা ইতোমধ্যে তাড়ুয়াসহ ঢালচর ও কুকরি-মুকরি পর্যটন এলাকায় আসতে শুরু করেছে।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »


সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পাদক ও প্রকাশক: আলহাজ্ব মিজানুর রহমান, উপদেষ্টা সম্পাদক: এ. কে. এম জায়েদ হোসেন খান, নির্বাহী সম্পাদক: নাজমূল হক সরকার।
সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক শরীয়তপুর প্রিন্টিং প্রেস, ২৩৪ ফকিরাপুল, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : মুন গ্রুপ, লেভেল-১৭, সানমুন স্টার টাওয়ার ৩৭ দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত।, ফোন: ০২-৯৫৮৪১২৪-৫, ফ্যাক্স: ৯৫৮৪১২৩
ওয়েবসাইট : www.dailybartoman.com ই-মেইল : news.bartoman@gmail.com, bartamandhaka@gmail.com