আমাদের সমাজের উন্নয়নে কার অবদান বেশি? নারীর নাকি পুরুষের? এক কথায় আপনি বলবেন, অবশ্যই পুরুষের। কারণ কর্মোক্ষম পুরুষদের প্রায় সবাই অর্থ আয় করেন। সেখানে কর্মোক্ষম নারীদের একটা বড় অংশ অর্থ আয় তো করেনই না, শিক্ষায়ও তারা পিছিয়ে আছে উল্লেখযোগ্য হারে। তবু গবেষণা বলছে, নারীর মস্তিষ্ক বেশি কাজ করে পুরুষের মস্তিষ্কের তুলনায়। কীভাবে? উত্তর পাবেন একটু ভাবলেই। যেমন-

১। একজন পুরুষ বাইরে কাজে বের হচ্ছেন। তিনি কিন্তু আগে থেকেই জানেন তিনি অফিসে যাবেন। আলাদা করে সিদ্ধান্ত নেয়ার কিছু নেই। কিন্তু নারীকে সকালে ঘুম থেকে ওঠা থেকেই সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে, তিনি কী খাবেন, তার স্বামী-সন্তান কী খাবেন!

২। শুধু খাওয়া নয়, সারা দিনে একজন নারীকে অনেকগুলো সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বিষয়গুলো আপাত দৃষ্টিতে ছোট হলেও প্রতিবারই তাকে মাথা খাটাতে হয়।

৩। এর সঙ্গে নারী যদি হন চাকরিজীবী তাহলে তাকে নিজের অফিসও সামলাতে হয়।

৪। নারী যদি হন ব্যবসায়ী তাহলে সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায়িত্ব বাড়ে আরও।

৫। নারীকে বলা হয় ঐড়সব সধশবত্ কারণ পরিবার একটি প্রতিষ্ঠান। সেই প্রতিষ্ঠানের সব দায়িত্ব সামলাতে হয় তাকে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, পুরুষের তুলনায় নারীদের অন্তত ২০ মিনিট বেশি ঘুম প্রয়োজন। কারণ নারীর মস্তিষ্ক তুলনামূলক বেশি কাজ করে এবং তার বিশ্রামের প্রয়োজনও বেশি।

গবেষণাটি করা হয়েছিল ২১০ জন মধ্য বয়সী নারী এবং পুরুষের মাঝে।

স্টাডিটির লেখক এবং গবেষক জিম হর্ণ বলেন, ঘুমের একটি জরুরি কাজ মস্তিষ্ককে আবারও উজ্জীবিত করা। তিনি খড়ঁমযনড়ত্ড়ঁময টহরাবত্ংরঃু এর ঘুম গবেষণাকেন্দ্রে নিযুক্ত একজন ঘুম বিশেষজ্ঞ। তিনি আরও বলেন, গভীর ঘুমের সময় মস্তিষ্কের কর্টেক্স যা কি-না স্মৃতি, ভাষা এবং আরও অনেক কিছুর দায়িত্বে রয়েছে সেটি আপনাকে সব অনুভূতি থেকে বিরত রাখে এবং রিকভারি মুডে চলে যায়।

প্রফেসর হর্ন বলেন, কার কতটা ঘুমের প্রয়োজন তা নির্ভর করে তার মস্তিষ্ক কতটা জটিল কাজ করছে তার ওপর। তিনি আরও বলেন, ‘আপনার মস্তিষ্ক দিনে যত কাজ করবে তত তার রিকভার করার প্রয়োজন হবে এবং তার জন্যই তাকে ঘুমাতে হবে।’

নারীরা বহুবিধ কাজ করেন। একই সঙ্গে তাদের অনেকগুলো কাজ করতে হয়। তাই তারা প্রকৃতপক্ষে পুরুষের তুলনায় বেশি মস্তিষ্কের ব্যবহার করে থাকেন। তাই তাদের ঘুমের চাহিদাও বেশি।

গড়ে ২০ মিনিট বেশি ঘুম প্রয়োজন নারীর। তবে ক্ষেত্র বিশেষে তা বেশি বা কম হতে পারে। নির্ভর করে কাজের ধরনের ওপর।

তবে হ্যাঁ, হর্ণ এটাও বলেন যে, যেসব পুরুষ জটিল কাজ করেন, একই সময় একাধিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন, চিন্তা করেন তাদের ক্ষেত্রে ঘুমের চাহিদাও বেশি হবে। তাই গড়ে কিছু পুরুষ যারা বেশি কাজ করেন তাদেরও অন্য পুরুষদের তুলনায় বেশি ঘুমের দরকার হবে।