শিরোনাম: |
ইতিহাসের বিখ্যাত কিছু নারী যোদ্ধা
|
জোয়ান অব আর্ক ফ্রান্সের ইতিহাসে সবচাইতে সাহসী নারীদের ভেতরে প্রথম স্থানটিতে আছেন জোয়ান অব আর্ক। জোয়ান অব আর্ককে দ্য মেইড অব অরলিয়ন্স নামেও ডাকা হয়। ইংরেজদের সঙ্গে শতবর্ষব্যাপী যুদ্ধকালে ফ্রান্সের সেনাবাহিনীর একটি অংশের নেতৃত্ব দেন। ফ্রান্স ও খ্রিস্টান ধর্মের ইতিহাসে তিনি এক কিংবদন্তি চরিত্র। ফ্রান্সের মিউজ নদীর তীরে দঁরেমি গ্রামের এক সাধারণ কৃষক পরিবারে জন্ম নেন জোয়ান। ইংরেজ শাসনাধীন ফ্রান্সে প্রচণ্ড কষ্টে দিনাতিপাত করছিল তখন মানুষ। সে সময় দেবদূতের বাণী শুনে এগিয়ে যন ১৭ বছর বয়সী নির্ভীক জোয়ান। নিজের অকৃত্রিম চেষ্টায় শেষ অবদি ইংরেজদের কাছ থেকে ফ্রান্সকে স্বাধীন করার পথে এগিয়ে যান তিনি। তবে দেশের স্বাধীনতা দেখে যেতে পারেননি এই সাহসী নারী। মাত্র ২৯ বছর বয়সে বিম্বাস ঘাতকতার কারণে মারা যান তিনি। সাইনেন মেসিডোনের ফিলিপের মেয়ে এবং আলেক্সান্ডার দি গ্রেটের সাত বোন ছিলেন সাইনেন। সাইনেনের মা ছিলেন ইলিরিয়া নামক একটি যোদ্ধাগোত্রের নারী। ফলে শিশুকাল থেকেই যুদ্ধ আর যোদ্ধা হওয়ার মানসিকতা- সবটাই গেঁথে গিয়েছিল সাইনেনের মন-মগজে। মায়ের কাছে ঘোড়ায় চড়া, নিশানাবাজি আর মারামারির সব কৌশল শিখে নিয়েছিলেন তিনি। এমনকি কিশোরী বয়সেই সাইনেন মেসিডোনিয়ার হয়ে যুদ্ধ করেন আর প্রতিপক্ষ ইলিরিয়ার রানীকে হত্যা করেন। নিজের পথ থেকে সাইনেনকে সরিয়ে ফেলার জন্যে আলেক্সান্ডার এই নারীর বিয়ে ঠিক করেন। কিন্তু বিয়ের ঠিক আগে আগেই হবু বরের শরীরে বিষ পাওয়া যায়। সাইনেনের দেয়া বিষে মারা যান হবু বর। আলেক্সান্ডারের মৃত্যুর পর তার ভাই তৃতীয় ফিলিপ সিংহাসনে বসেন। আর ফিলিপের সাথে নিজের মেয়ের বিয়ে দেয়ার ইচ্ছে পোষণ করেন সাইনেন। পরবর্তীতে অবশ্য ফিলিপের সৈন্যের হাতে মৃত্যু হয় তার। তবে এত চেষ্টাতেও বিয়ে আটকানো যায়। মৃত্যুর মধ্যে দিয়েও ফিলিপ ও নিজের মেয়ের বিয়ে দিয়ে ইচ্ছা পূরণ করেন সাইনেন। মাভিয়া শাসক ভ্যালেনের রাজত্বকালে আরব গোত্ররা একজোট হয়ে হামলা করে রোমান প্যালেস্টাইনের সীমানায়। আর এই পুরো গোত্রটির নেতৃত্বের ছিলেন একজন নারী মাভিয়া। খবরটি খুব হাস্যকর ছিল রোমানদের কাছে। এমনকি একজন নারীর সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্যে সাহায্য লাগবে সেনাপতির এই বিষয়টি জানবার পর তাকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করা হয়। তবে তাদের শিক্ষা দিতে খুব বেশি সময় লাগেনি মাভিয়ার। খুব সহজেই রোমান সৈন্যদের পরাজিত করে আরবরা। ইতিহাসবিদ সোজোমেনের লেখানুসারে, পরবর্তীতে আবার সেই সেনাপতিকেই যুদ্ধক্ষেত্রে ফিরে আসতে হয়। তবে যুদ্ধ খুব বেশি সময় চলেনি এরপর। মাভিয়ার দাবি ছিল ধর্মীয়। সেই দাবি মেনে নিয়ে যুদ্ধের ইতি টানতে বাধ্য হয় রোমানরা। লুয়ের মা চীনের এই নারীকে লুয়ের মা নামেই চেনে সবাই। ইতিহাসে তার নামটাও মনে রাখার চেষ্টা করেনি। ১৪ শতকের ঘটনা। লু নামে এক সাধারণ সৈনিকের মৃত্যুদণ্ড ঘোষিত হয়। তবে সেটা মোটেও ন্যায়বিচার ছিল না। লুয়ের মা তখন আর কিছু না করতে পেরে ছেলের মৃত্যুকে চোখের সামনে হতে দেখেন আর প্রতিশোধ নেয়ার রাস্তা খুঁজতে থাকেন। সমৃদ্ধ ও প্রভাবশালী ওয়াইন ব্যবসায়ী পরিবারের মেয়ে লুয়ের মা ছিলেন বেশ অর্থ-বিত্তের মালিক। এছাড়াও বিনে পয়সার ওয়াইন উপহার দিয়ে খুব সহজেই অনেককে বন্ধু বানিয়ে ফেলেন এই নারী। ষাট বছর বয়সী এই নারী যুবকদের নিয়ে একটি দ্বীপে প্রশিক্ষণ দিতে থাকেন। আর একটা সময় আক্রমণ করে বসেন রাজত্বকে। কেড়ে নেন ক্ষমতা। মৃত্যুদণ্ড দেন সেই বিচারকের যে কি-না লুয়ের মৃত্যুর বিধান দিয়েছিল। কিছুদিন পর মৃত্যু হয় লুয়ের মার। তখন তার অনুসারীরা রেড আইব্রো নামক একটি দলে যোগদান করে। পরবর্তীতে ওয়াং মাং শাসনকে সরাতে বেশ বড় ভূমিকা রাখে এরা। - চারুলতা ডেস্ক |