শুক্রবার ২ মে ২০২৫ ১৯ বৈশাখ ১৪৩২
দ্বিতীয় কোয়ালিফাইয়ার রাজশাহী
সামির ব্যাটিং ঝড়ে ঝরে গেল চিটাগং
Published : Tuesday, 6 December, 2016 at 6:00 AM, Count : 458

ক্রীড়া প্রতিবেদক : জয়ের জন্য দরকার ১৪৩। এ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৫৭ রানে নেই ছয় উইকেট। রীতিমতো অসহায় তখন রাজশাহী কিংস। হারতে চলেছে সাব্বিররা? মিরপুরে এমন আবহ তখন তুঙ্গে। কিন্তু না, ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে যেন ফিনিক্স পাখির মতো আবির্ভাব অধিনায়ক ড্যারেন স্যামির। খাদের কিনারায় পড়ে যাওয়া দলকে একাই টেনে তুললেন ক্যারিবিয় এই অলরাউন্ডার। শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করে চিটাগংয়ের বিরুদ্ধে দলকে এনে দিলেন তিন উইকেটের রোমাঞ্চকর জয়। ২৭ বলে স্যামি অপরাজিত থাকলেন ৫৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে। ফলে অনুমিতভাবে ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেয়েছেন তিনিই।

এলিমিনেটর ম্যাচে এমন হারে বিপিএল থেকে বিদায় নিতে হলো তামিমের চিটাগং ভাইকিংসকে। আর এখন ফাইনাল থেকে এক ধাপ পিছিয়ে রাজশাহী কিংস।

আগে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে চিটাগং করে ১৪২ রান। জবাবে স্যামির ব্যাটিং তাণ্ডবে ১৮.৩ ওভারে ৭ উইকেটে ১৪৩ রান সংগ্রহ করে রাজশাহী। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে রাজশাহী আগামীকাল বুধবার মুখোমুখি হবে প্রথম কোয়ালিফায়ারে ঢাকা-খুলনা ম্যাচের জয়ী দলের সঙ্গে। 

গতকাল মঙ্গলবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এদিন বাঁচা-মরার ম্যাচে ব্যাটিংয়ে নেমে জ্বলে উঠতে পারেনি রাজশাহীর টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানরা। দলীয় ৫৭ রানে ছয় উইকেট হারায় দলটি। ওপেনার নুরুল হাসান সর্বোচ্চ ৩৪ রান করে আউট হন।

বাকিদের মধ্যে ওপেনার মুমিনুল হক ৪, আফিফ হাসান ০, সাব্বির রহমান ১১, স্যামিত প্যাটেল ৫, জেমস ফ্রাঙ্কলিন করেন ৫ রান।

বিপর্যয়ের মুখে অধিনায়ক ড্যারেন সামি ও মেহেদী হাসানের জুটিতে করেন ৩৭ রান। দারুণ শুরু করে মেহেদী নিজের ভুলে রান আউটের শিকার হন। সাজঘরে ফেরার আগে তিনি করেন ১০ বলে ১০। সতীর্থকে হারিয়ে ব্যাটিং ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেন ড্যারেন স্যামি। এসময় তাকে সঙ্গ দেন ফরহাদ রেজা।

সামি ২৭ বলে সাত বাউন্ডারি ও দুটি ছক্কায় ৫৫ রান করেন। ফরহাদ রেজা ১১ বলে ১৯ রান করে অপরাজিত থাকেন।  চিটাগংয়ের হয়ে শুভাষীশ রয় ও সাকলাইন সজীব দুটি করে উইকেট নেন।

এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪২ রান সংগ্রহ করে চিটাগং ভাইকিংস। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে দলীয় ৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় ভাইকিংস। ডোয়াইন স্মিথ ব্যক্তিগত রানের খাতা খোলার আগেই কেসরিক উইলিয়ামসের বলে ড্যারেন সামির হাতে ক্যাচ দেন।

এরপর চিটাগংয়ের অধিনায়ক তামিম ইকবালের সাথে জুটি গড়েন ক্রিস গেইল। দ্বিতীয় জুটিতে ৭৪ রান যোগ করেন তারা। জ্যামাইকান ব্যাটিং দানব ক্রিস গেইল ৩০ বলে ঝড়ো ৪৪ রান করে আউট হন। এরপর তৃতীয় উইকেটে ৩০ রান যোগ করেন তামিম-শোয়েব মালিক জুটি।

চট্টগ্রামের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫১ রান করেন তামিম ইকবাল। তার ৪৬ বলের ইনিংসে আটটি চারের মার ছিল। ২টি চারের পাশাপাশি পাঁচটি ছক্কা মারেন গেইল। এছাড়া শোয়েব মালিক ১৪, এনামুল হক বিজয় ১১ এবং জহুরুল ইসলাম অপরাজিত ১১ রান করেন।

রাজশাহীর হয়ে বল হাতে কেসরিক উইলিয়ামস ৪ ওভার বল করে ১১ রানের বিনিময়ে চারটি উইকেট শিকার করেন। দুটি উইকেট পান ফরহাদ রেজা।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »


সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পাদক ও প্রকাশক: আলহাজ্ব মিজানুর রহমান, উপদেষ্টা সম্পাদক: এ. কে. এম জায়েদ হোসেন খান, নির্বাহী সম্পাদক: নাজমূল হক সরকার।
সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক শরীয়তপুর প্রিন্টিং প্রেস, ২৩৪ ফকিরাপুল, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : মুন গ্রুপ, লেভেল-১৭, সানমুন স্টার টাওয়ার ৩৭ দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত।, ফোন: ০২-৯৫৮৪১২৪-৫, ফ্যাক্স: ৯৫৮৪১২৩
ওয়েবসাইট : www.dailybartoman.com ই-মেইল : news.bartoman@gmail.com, bartamandhaka@gmail.com