শিরোনাম: |
এবার পিবিআই তদন্তে সালমানের মৃত্যু রহস্য
|
‘১৮ বছরেও পূরণ হয়নি সালমান শূন্যতা’ সালমান শাহর মৃত্যু: পিপির বিরুদ্ধে আসামিপক্ষ নেয়ার অভিযোগ সালমান শাহর মৃত্যু: ‘বিব্রত’ বিচারক রায়ের জন্য পাঠালেন অন্য আদালতে। ঢাকার মহানগর হাকিম লস্কর সোহেল রানা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআইকে) দিয়ে পুনরায় আলোচিত এ মামলাটির তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন। গত মঙ্গলবার আদালতের এই আদেশ হলেও গতকাল তা জানা যায়। এত দিন পর এই আদেশে কিছুটা আশাবাদী মামলার বাদী সালমানের মা নীলা চৌধুরী এবং তার আইনজীবী মাহফুজ মিয়া। নীলা চৌধুরী বলেন, এ আদেশটি অসীম অন্ধকারে আমাদের কাছে একবিন্দু আলোর মতো। ভেবেছিলাম কেউ আমাদের বিষয়টি বিচারিক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে না দেখে আমাদের ন্যায্য দাবি থেকে বার বার দূরে ঠেলে দিচ্ছে। দেখা যাক এখন সালমান শাহর হত্যার তদন্ত কোন পথে যায়, বলেন আইনজীবী মাহফুজ। এর আগে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের একজন বিচারক র্যাবকে দিয়ে মামলাটির অধিকতর তদন্তের আদেশ দিলে রাষ্ট্রপক্ষ দায়রা জজ আদালতে গেলে তা আটকে যায়। তখন সালমান শাহর মা নীলা চৌধুরী অভিযোগ করেছিলেন, আসামি পক্ষ দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ‘রাষ্ট্র নিজেই রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবস্থান’ নিয়েছে। এই মামলাটির বাদী ছিলেন সালমানের বাবা কমর উদ্দিন। তিনি মারা যাওয়ার পর মা নীলা চৌধুরী বাদী হিসেবে আসেন। তিনি আগের তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি আবদুল্লাহ আবু বলেছিলেন, নীলা চৌধুরী এই মামলার বাদী নন। এই অবস্থায় তিনি বাদী হিসেবে নারাজি দিতে পারেন না। তার এই বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে আইনজীবী মাহফুজ মিয়া বলেন, ‘সালমানের বাবা মারা যাওয়ার পর আদালতের নির্দেশে করা বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন বিপক্ষে গেলে মৃতের মা নীলা চৌধুরী স্বার্থ সংশ্লিষ্ট পক্ষ হিসেবে নারাজি দিয়েছিলেন। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে তুঙ্গস্পর্শী জনপ্রিয়তার মধে?্য ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ইস্কাটন রোডে নিজের বাসা থেকে সালমান শাহর (চৌধুরী মো. ইমন) লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনাটি আত্মহত্যা হিসেবে দেখে পুলিশ অপমৃত্যুর মামলা করলেও তাতে আপত্তি জানায় পরিবার। এরপর তারা হত্যা মামলা করেন। জাতীয় পার্টির সাবেক নেত্রী নীলা চৌধুরী বলেন, তার লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়নি। অথচ আসামিপক্ষ বলে আসছে যে লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। নীলা চৌধুরী ছেলে সালমানের স্ত্রী সামিরা হক, চলচ্চিত্র প্রযোজক ও ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মাদ ভাইসহ ১১ জনকে তার ছেলের মৃত্যুর জন?্য দায়ী করছেন। অন?্যরা হলেন- সামিরার মা লতিফা হক লুসি, রিজভী আহমেদ ওরফে ফরহাদ, সহকারী নৃত্যপরিচালক নজরুল শেখ, ডেভিড, আশরাফুল হক ডন, রাবেয়া সুলতানা রুবি, মোস্তাক ওয়াইদ, আবুল হোসেন খান ও গৃহকর্মী মনোয়ারা বেগম। ঘটনার পর দীর্ঘ সময়ে বেশ কয়েকবার একে আত্মহত্যা বলে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়া হলেও সালমানের পরিবার বারবারই পুনর্তদন্ত চায়। প্রয়াত এই নেতার ভক্তরাও আদালতে বিক্ষোভ দেখায়। প্রায় ১৮ বছর পর এই বছরের জানুয়ারিতে এই মৃত্যুর ঘটনা হত্যা না আত্মহত্যা, তা নির্ধারণে মামলাটি আবার আদালতে ওঠে। নীলা চৌধুরীর অন্যতম আইনজীবী মো. ফারুক বলেন, ‘রিজভী আহমেদ এর আগে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে হত্যার কথা বলেছিলেন। তিনি অন?্য আসামিদের সাহায্য করার জন্য সালমানের পা চেপে রেখেছিলেন। সালমানের স্ত্রী সামিরা, সামিরার মা, ডন, আজিজ মোহাম্মদ ভাইকে সম্পৃক্ত করে অন্য একটি মামলায় সালমানের হত্যাকাণ্ড নিয়ে এই জবানবন্দি রিজভী দেন একজন হাকিমের কাছে। এই মামলার শুনানিতেও তা তুলে ধরা হয়েছে। |