শিরোনাম: |
মানবসম্পদ উন্নয়নে তহবিল হচ্ছে
নতুন ওষুধ নীতির খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন
|
সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের জানান, নতুন ওই কর্তৃপক্ষ গঠন করতে একটি আইন করা হবে। আর স্কিল ডেভেলপমেন্টের জন্য করা হচ্ছে জাতীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন তহবিল। তহবিলের আকার কেমন হবে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আওতায় একটি প্রকল্প থেকে শুরুর দিকে অর্থায়ন করা হবে। পরে আরও ডেভেলপ করা হবে। এখানে অনেক রকমের সোর্স আসার সুযোগ আছে। মন্ত্রিসভার অনুমোদনের মধ্য দিয়ে জাতীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন তহবিল গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হল জানিয়ে শফিউল আলম বলেন, অথরিটির জন্য আইনের খসড়াও তৈরি হয়ে গেছে। ‘জাতীয় ওষুধ নীতি ২০১৬’ প্রসঙ্গে সচিব মো. শফিউল আলম বলেন, দেশে ওষুধের মান সঠিকভাবে নিরূপণ ও ঠিক রাখার জন্যই জাতীয় ওষুধ নীতির খসড়া প্রণয়ন ও অনুমোদন দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমানে বিশ্বের ১২২টি দেশে বাংলাদেশের ওষুধ রফতানি হচ্ছে। ভবিষ্যতে সম্ভাবনাময় এই শিল্প যাতে সুনাম ও দক্ষতার সঙ্গে ওষুধ উত্পাদন এবং রফতানি করতে সক্ষম হয় সেজন্যই একটি আইনি কাঠামো দরকার। মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও জানান, এমনি অবস্থায় দেশে উত্পাদিত ওষুধের মান নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন রয়েছে। ওষুধ নীতি প্রণয়নের পর ১১ বছর পার হয়েছে। এ সময়ে অনেক কিছুই পরিবর্তন হয়েছে। পুরনো নীতিকেই বিস্তারিতভাবে হালনাগাদ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, নতুন নীতিতে কার্যকর মানসম্মত ওষুধ উত্পাদনের কথা বলা হয়েছে। দেশের এবং রফতানির জন্য উত্পাদিত সব ওষুধের নিবন্ধন করতে হবে। কাঁচামাল উত্পাদনে মান বজার রাখা ও জাতীয় ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ উত্পাদন, বিতরণ, ও ফার্মেসিতে প্রদর্শনে কঠোর শাস্তি বিধানের কথা বলা হয়েছে। এছাড়া বছরে অন্তত একবার সরকার ওষুধের মূল্য হালনাগাদ করবে এবং তা মন্ত্রণালয়, অধিদফতরসহ সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। তিনি বলেন, আগের আইনটিই নতুন করে তিনটি ধারা যুক্ত করা হয়েছে। তাছাড়া আইনে শাস্তি আগের চেয়ে বাড়ানো হয়েছে। ইনস্টিটিউটের সদস্য দাবি করে প্রতারণামূলক শাস্তি ৬ মাস এবং অর্থদণ্ড ৫ হাজার বাড়িয়ে ৩ লাখ করা হয়েছে |