শিরোনাম: |
ইসি গঠন: রাষ্ট্রপতির দিকে তাকিয়ে বিএনপি
|
এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ শুরু হওয়ার মধ্যে দিয়ে রাজনৈতিক সঙ্কট সমাধানের দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। এ দ্বার উন্মোচিত থাকলে শুধু বিএনপি নয় সবাই এর সুফল পাবে। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে অনুষ্ঠিত সংলাপে বিএনপির পক্ষ থেকে সার্চ কমিটি বা নির্বাচন কমিশনার হিসাবে কারো নামের তালিকা দেয়া হয়েছে কি-না, জানতে চাইলে মওদুদ বলেন, নামের তালিকা দেয়া হয়েছে। যতজন প্রয়োজন ততজনেরই নাম দেয়া হয়েছে। তবে তাদের নাম প্রকাশ করা যাবে না। রাষ্ট্রপতি বিএনপির প্রস্তাব পুরোপুরি মেনে নিবেন কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে মওদুদ বলেন, এটা পৃথিবীর কোনো দেশেই সম্ভব নয়। তবে আমরা আশা করছি, রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তে জনগণের আশার প্রতিফলন ঘটবে। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সংলাপে উপস্থিত থাকা দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিরপেক্ষ করতে সব দলের মতামতের ভিত্তিতে নতুন ইসি গঠন করতে হবে। তাই বিএনপির চেয়ারপারসন প্রস্তাবনা দিয়েছিল। সংলাপের দাবি জানিয়েছিল। সংলাপ হয়েছে। রাষ্ট্রপতি খুবই আন্তরিকভাবে আমাদের প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন। আশা করি তার উদ্যোগেই রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসন হবে। স্থায়ী কমিটির অপর সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, দেশের চলমান পরিস্থিতিতে কী করণীয় তা সুনির্দিষ্টভাবে নির্ণয় করে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। সংলাপে রাষ্ট্রপতি প্রস্তাবগুলো নিয়েছেন। সংলাপ অর্থবহ হয়েছে। সূত্র মতে, ২০১২ সালেও বর্তমান নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য তত্কালীন রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান সার্চ কমিটি গঠনের লক্ষ্যে এমন সংলাপের আয়োজন করেছিলেন। নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছিল কিন্তু সেই নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে সংঘটিত ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির সংসদীয় নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট অংশগ্রহণ করেনি। ২০১৪ সালের নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপি-জামায়াত জোটের ডাকা হরতাল-অবরোধের সময় দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে প্রায় ২শ’ মানুষ নিহত এবং কয়েক’শ আহত হয়। নির্বাচনকে প্রতিহত করার জন্য বিএনপি-জামায়াত জোটের অবরোধ-হরতাল |