শিরোনাম: |
শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা ডব্লিউইএফ’র চেয়ারম্যানের
বাংলাদেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যত্ নিয়ে আত্মবিশ্বাসী বিশ্ব সম্প্রদায়
|
![]() - শেখ হাসিনা বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান নিরাপত্তা ও শ্রমিক অধিকার নিশ্চিতে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ বর্তমান প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী চেয়ারম্যান ক্লস সোয়াব। বাংলাদেশকে আরও বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য বিশ্বব্যাপী ব্র্যান্ডিং করার পরামর্শ দিয়ে ক্লস সোয়াব বলেন, বিশ্ব সম্প্রদায় আত্মবিশ্বাসী এবং বাংলাদেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যত্ নিয়ে আশাবাদী। গত মঙ্গলবার সুইজারল্যান্ডের দাভোসের কংগ্রেস সেন্টারে ডব্লিউইএফের বার্ষিক সভার সাইড লাইনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে এক বৈঠকে এ কথা বলেন ক্লস। বিভিন্ন সেক্টরে বাংলাদেশে উন্নয়ন প্রসঙ্গে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, এটা বিস্ময়কর ও প্রশংসনীয়, বিশেষকরে বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও প্রবৃদ্ধির স্থিতিশীলতা এবং সাত শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন। ক্লস সোয়াবের আমন্ত্রণে বাংলাদেশের প্রথম কোনো নির্বাচিত সরকার প্রধান হিসেবে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের ৪৭তম সভায় অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী। আমন্ত্রণ জানানোয় ক্লসকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধন্যবাদ জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ও আঞ্চলিক অর্থনীতিকে তুলে ধরার লক্ষ্যে বাংলাদেশে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের একটি সভা আয়োজনের আহ্বান জানান। বাংলাদেশের বিনিয়োগ সুবিধা ও বিদ্যমান বিনিয়োগ পরিবেশের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিনিয়োগকারীদের ব্যাপকভাবে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে বলতে ডব্লিউইএফ নির্বাহী চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করেন। জ্বালানি ও বিদ্যুত্ খাতের উন্নয়নসহ বাংলাদেশের বড় বড় অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময়ে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও সুইজারল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শামীম আহসান। নিরাপত্তা ও শ্রমিক অধিকার নিশ্চিতে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ : বাংলাদেশের অর্থনীতিতে পোশাক ও টেক্সটাইল শিল্পের অপরিমেয় অবদানের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কলকারখানায় শ্রমিকদের অধিকার, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও মানসম্মত পরিবেশ নিশ্চিত করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। সুইজারল্যান্ডের দাভোসের কংগ্রেস সেন্টারে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বার্ষিক সভায় ‘নতুন পানি অর্থনীতির রূপায়ন’ শীর্ষক কর্মশালায় উপস্থাপকের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। উপস্থাপক ওয়ার্ল্ড রিসোর্স ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী এন্ডরু স্টিয়ার বলেন, বাংলাদেশের টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিকে ২৮ বিলিয়ন ডলার থেকে ২০২১ সালে ৫০ বিলিয়ন ডলার নিয়ে যাওয়ার উচ্চকাঙ্ক্ষা পূরণে বর্জ্য পানি ট্রিটমেন্ট ও পানি ব্যবহার দক্ষতা বাড়ানো প্রয়োজন। ২০৩০ সালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে অসংখ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আপনি কী করছেন, প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক ও বস্ত্র রফতানিকারক দেশ। এ সেক্টরে ৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন শ্রমিক কাজ করে, যাদের ৮০ শতাংশ নারী। দেশের মোট রফতানির ৮৩ শতাংশ আসে এ শিল্প থেকে। তিনি বলেন, মজুরি, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, নিয়ম, চর্চা এবং শ্রমিক-মালিক সুসম্পর্কের বিচারে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ উচ্চতর মান অর্জন করেছে। শেখ হাসিনা বলেন, মূল মজুরি ৭৭ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। বিশ্ব ব্র্যান্ড ও রিটেলারদের মাধ্যমে তিন হাজার ৭৮০টি কারখানা মূল্যায়ন ও পর্যবেক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে। কারখানাগুলো আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড ও রিটেলারদের সঙ্গে নিয়ে এখন আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করতে কাজ করছে। তিনি বলেন, প্রত্যেকটি কারখানায় পেশাদার নিরাপত্তা কমিটি রয়েছে, সেখানে শ্রমিক-মালিক এক সঙ্গে কাজ করে। সরকারের শিল্প কারখানা স্থাপনের আগে বর্জ্য ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট ইটিপি প্রতিষ্ঠা বাধ্যতামূলক করার বিষয়টি উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী বলেন, বড় আবাসনগুলোতে ইটিপি বসানোর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সরকার কারখানাগুলোকে ‘গো গ্রিন’ করতে সহযোগিতা করছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের এলইইডি সার্টিফাইড ৩৮টি কারখানা রয়েছে, বিশ্বের শীর্ষ ১০ গ্রিন কারখানার মধ্যে বাংলাদেশের রয়েছে ৭টি। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ সরকার ২০৩০ ওয়াটার রিসোর্স গ্রুপের সঙ্গে কাজ করছে। বাংলাদেশের লক্ষ্য শতভাগ বর্জ্য পানি শোধন এবং পানি ব্যবহার দক্ষতা অর্জন। তিনি বলেন, সরকার বর্জ্য পানি শোধনে অবকাঠামো নির্মাণে বড় ধরনের অর্থায়ন, প্রণোদনা, পুনর্ব্যবহার, পানির দক্ষ ব্যবহার, পানি ব্যবহারে পদ্ধতিগত মূল্যায়ন প্রতিষ্ঠা, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনার প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়ন, বেসরকারি ও সিভিল সোসাইটির অংশ নেয়া বাড়াতে সরকার কাজ করছে। শেখ হাসিনা বলেন, পানিবিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের প্যানেলের সদস্য হিসেবে আমি ২০৩০ ওয়াটার রিসোর্স উদ্ভাবনী কাঠামোকে সামনে এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রধানমন্ত্রী বলেন, পানি ব্যবস্থাপনা বাংলাদেশের বড় কোনো সমস্যা নয়। যেহেতু এখানে বৃষ্টির মৌসুমে প্রচুর পানি থাকে। কিন্তু পানি সংরক্ষণ করতে হবে। তিনি বলেন, তার সরকার সারাদেশের নদীগুলোতে খননের মাধ্যমে নাব্যতা বাড়িয়ে নদীর স্বাভাবিক গতি ঠিক রাখতে কাজ করছে। বাংলাদেশে প্রায় শতভাগ নিরাপদ খাবার পানি ও স্যানিটেশনের সুবিধা অর্জনের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই সুবিধা থেকে কেউ বাদ যাবে না। দেশের কৃষি সেক্টরকে টেকসই করতে খরা ও লবণাক্ততা সহিষ্ণু শস্যজাত উদ্ভাবনের কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। সার্ক এখনও জীবিত : দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা সার্কের কার্যকারিতা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সার্ক এখনও জীবিত। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সুইজারল্যান্ডের ডাভোস কংগ্রেস সেন্টারে ৪৭তম ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) বার্ষিক সম্মেলনে ‘হারনেসিং রিজিওনাল কো-অপারেশন ইন সাউথ এশিয়া’ শীর্ষক একটি ইন্টারেক্টিভ সেশনে মতবিনিময়ে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। সেশনের শুরুতে গত সার্ক সম্মেলন স্থগিত হওয়া এবং সংস্থাটির কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। গত ৯-১০ নভেম্বর ইসলামাবাদে ১৯তম সার্ক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। বাংলাদেশ, ভারতসহ কয়েকটি দেশ সম্মেলনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নেয়া এটি স্থগিত হয়ে গিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, একটা সম্মেলন স্থগিত হয়েছে এতে আশঙ্কার কোনো কারণ নেই। আমি মনে করি সার্কের কার্যকারিতা শেষ হয়ে যায়নি। এখনও যথেষ্ট কাজ করার সুযোগ রয়েছে। সার্ক এখনও জীবিত। এ অঞ্চলের মানুষের কল্যাণে তাদের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করার তাগিদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দারিদ্র্য আমাদের প্রধান শত্রু। দারিদ্র্য কিভাবে বিমোচন করা যায়, সে লক্ষ্য নিয়ে কাজ করা দরকার। তিনি বলেন, ব্যবসা, কানেকটিভিটি, জনগণের সঙ্গে জনগণের যোগাযোগ বাড়াতে হবে। আমরা এ বিষয়ে কাজ শুরু করেছি। বিসিআইএম, বিবি আইএন, বিমসটেক আঞ্চলিক ফোরামের ওপর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। আঞ্চলিক সহযোগিতা ও বাণিজ্য বৃদ্ধি বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, নৌপথসহ বিভিন্ন ধরনের কানেকটিভিটির ওপর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। সাফটাকে শক্তিশালী করা হয়েছে। সার্ক স্যাটেলাইট উত্তক্ষেপণের চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানে আমেরিকার পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দক্ষিণ এশিয়া থেকে বিনিয়োগ সরিয়ে নেয়া হবে- এ রকম আলোচনা বিষয়ে একজন প্রশ্ন তুললে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কেউ ইচ্ছা করলে বিনিয়োগ তুলে নিয়ে যাবে সেটা সম্ভব না, খুব সহজ হবে না। বাংলাদেশের জনশক্তিকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সম্পদ হিসেবে তৈরি করা হচ্ছে বলে জানান শেখ হাসিনা। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি মোকাবিলা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স ট্রাস্ট ফান্ড, অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। কারো জন্য অপেক্ষা না করে আমরা নিজেরাই বাস্তবায়ন শুরু করেছি। কয়লাভিত্তিক পাওয়ার প্ল্যান্টে পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে কি-না? অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী একজনের প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশ হতে হলে আমাদের ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত্ উত্পাদন করতে হবে। এটা করতে হলে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতে আমাদের যেতে হবে। পারমানবিক বিদ্যুত্সহ বিভিন্ন উত্স থেকে আমরা বিদ্যুত্ উত্পাদনে গুরুত্ব দিচ্ছি। তিনি বলেন, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত্ উত্পাদনে আমরা হাই টেকনোলজির ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি। যাতে দূষণ সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখা যায়। পাকিস্তানি এক নাগরিক বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রসঙ্গে তুলতে শেখ হাসিনা বলেন, একাত্তর সালে তারা যুবক ছিল। তারা ক্রিমিনাল ছিল। আইনের মধ্যে তাদের বিচার করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে শ্রীলঙ্কান প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমেসিংহে, ভারতের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনসহ সার্কভুক্ত দেশগুলোর সরকারের প্রতিনিধি ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। প্রধানমন্ত্রীকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের শুভেচ্ছা : বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) ৪৭তম বার্ষিক সভায় যোগ দিতে সুইজারল্যান্ড সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন ইউরোপের বিভিন্ন দেশের প্রবাসী বাংলাদেশিরা। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সফরকালীন আবাসস্থল সিলভ্রেত্তা পার্ক হোটেলে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের প্রবাসী বাংলাদেশিরা একযোগে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান। এ সময় তারা শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা ও শুভ কামনা করে বিভিন্ন স্লোগান দেন। শুভেচ্ছা জানানোর বিষয়ে অল ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ গণি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সফরের প্রথম দিন থেকে গ্রুপ গ্রুপ করে প্রবাসী বাংলাদেশিরা তার সঙ্গে সাক্ষাত্ করছেন এবং শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। মঙ্গলবারও সবাই এক হয়ে তাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ বলেন, উচ্চ পর্যায়ের এ সভায় প্রধানমন্ত্রীর অংশগ্রহণ বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে। দাভোসে ডব্লিউইএফের বার্ষিক সভায় অংশগ্রহণের পর ৫ দিনের সফর শেষে ২১ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে সবার জন্য ইন্টারনেট: পলক তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, দেশের সব মানুষকে নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আসতে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে ইতোমধ্যেই বাংলাগভনেট ও ইনফো সরকার-২ প্রকল্পের মাধ্যমে উপজেলাগুলোকে উচ্চগতির ফাইবার অপটিক ক্যাবলের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। তিনি মঙ্গলবার রাতে সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম এর ৪৭তম বার্ষিক সভার ‘ইনোভেশনস টু কানেক্ট দ্যা আনকানেক্টেড’ শীর্ষক এক ফোকাস গ্রুপ ডিসকাসনে অংশ নিয়ে এ কথা বলেন। গতকাল বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। তিনি বলেন, দেশের সব ইউনিয়নকে সংযুক্ত করতে ইনফো-৩ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে, গৃহীত হয়েছে এস্টাবলিশিং ডিজিটাল কানেকটিভি প্রকল্প। আমরা দুর্গম এলাকাগুলোকে সংযুক্ত করতে কানেক্ট বাংলাদেশ প্রকল্প হাতে নিয়েছি। তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, এ ধরনের উল্লেখযোগ্য নানা ধরনের প্রকল্পের মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে দেশের সব জনগণকে ইন্টারনেটের আওতায় নিয়ে আসা হবে। পলক বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ কার্যক্রম ঘোষণার পর থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অত্যন্ত সময়োপযোগী ও বাস্তবমুখী পদক্ষেপের মাধ্যমে দেশের মানুষকে সাশ্রয়ী মূল্যে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ, সহজলভ্য করার প্রয়াস অব্যাহত রেখেছি বলেই ইতোমধ্যে ৪০ শতাংশ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। এ সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগামী ৫ বছরে এ সংখ্যা শতভাগে নিয়ে যেতে আমরা নতুন নতুন উদ্ভাবন নিয়ে কাজ করছি। ইনোভেশন ফান্ডের মাধ্যমে এখন এই উদ্ভাবনগুলোকে সার্বিক সহযোগিতা করছি। স্টার্ট-আপদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতাসহ মনিটরিং করা, তাদেরকে বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে পৌঁছে দেয়াও আমাদের উদ্দেশ্য। এ জন্য ইনোভেশন ডিজাউন অ্যান্ড অন্ট্রাপ্রেনিওরশিপ একাডেমি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলেও তিনি জানান। এ ফোকাস গ্রুপ ডিসকাশনে আরও অংশ নেন রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট পল কাগামে, জাপানের ইকোনমি, ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি মন্ত্রী হিরোশি সেকো, ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব এর জনক স্যার টিম বার্নস লি, ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন-এর মহাসচিব হাওলিন ঝাও, ইউনেস্কোর মহাসচিব ইরিনা জর্জিয়েভা বোকাভা, বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপ এর সিনিয়র পার্টনার ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওল্ফগ্যাং বক, জাপানের ইন্টারনাল অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন মন্ত্রী সানায়ি টাকাছি, রুয়ান্ডার ইউথ অ্যান্ড ইনফরমেশন কমিউনিকেশন মন্ত্রী জিন ফিলবার্ট সেনজিমানা, আলীবাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা, ভিম্পেলকম গ্রুপের সিইও জিন ইভস চার্লিয়ার, ২৪এম টেকনোলজিসের প্রধান বিজ্ঞানী ও কো-ফাউন্ডার ইয়েট মিং চেইং প্রমুখ। গত বছরের ১২ মার্চ ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম জুনাইদ আহমেদ পলককে ইয়ং গ্লোবাল লিডার মনোনীত করে। |