রবিবার ২২ জুন ২০২৫ ৮ আষাঢ় ১৪৩২
রোহিঙ্গা ইস্যু ও বিশ্ব মানবতা
Published : Thursday, 7 September, 2017 at 6:00 AM, Count : 1432

ড. মো. হুমায়ুন কবীর : মিয়ানমারের একটি সমস্যাযুক্ত রাজ্যের নাম রাখাইন। এটি যে বর্তমানে সৃষ্টি হওয়া কোনো সমস্যা তা নয়। এ সমস্যার মূলে রয়েছে শতাব্দীর বঞ্চনার ইতিহাস। রাখাইন রাজ্যের কিছু অধিবাসী মুসলিম এবং তাদের মুখের ভাষা অনেকটা চট্টগ্রামের আঞ্চলিক স্থানীয় ভাষার সঙ্গে মিল রয়েছে। সেজন্য মিয়ানমার সরকার সবসময় তাদের বাংলাদেশি বলে অত্যাচার করে এদেশে পাঠিয়ে দেয় ছলে বলে কৌশলে। এ ঘটনাটি এবারেই কেবল ঘটছে তা নয় যুগ যুগ ধরে চলে আসছে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ে বাংলাদেশের সমস্যা। যখন কিছুদিন এমন সমস্যা চলে, তখন তা গণমাধ্যমে উঠে এলে কয়েকদিন আলোচনা সমালোচনা চলতে থাকে পরে তা আবার ধীরে ধীরে চাপা পড়ে যায়। মাঝখান থেকে সেদেশ থেকেও কিছু লোক বিতারিত হয় এবং বাংলাদেশের সীমান্ত শিবিরগুলোতে আবারও যুক্ত হয় কিছু রোহিঙ্গা শরণার্থী।
এ যেন বাংলাদেশের কোনো জিনিসের দাম বাড়া-কমার মতো লোকেচুরি খেলা। বাংলাদেশে কোনো কারণে একটি জিনিসের দাম যদি কখনও বেড়ে যায়, কিন্তু যে পরিস্থিতিতে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পায় সেটি চলে গেলেও বৃদ্ধিকৃত পণ্যের দাম আর কখনো কমতে দেখা যায় না। এভাবে দেখতে দেখতে বিগত ২০-৩০ বছরে এমনিতেই নামে বেনামে প্রায় ৫ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা শরণার্থী হিসেবে বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্তে আশ্রয় শিবিরে বসবাস করছেন। আমরা সকলেই জানি মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সুচি দেশটিতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নেতৃত্ব দেয়ার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৯০ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো সেই অংসান সুচিই এখন মিয়ানমার সরকারের রাষ্ট্র ক্ষমতায়। অথচ সেখানে একি গণতন্ত্র এখন দেখছে বিশ্ববাসী!
কিছুদিন পরপর এ ধরনের অত্যাচারের নাটক তো মিয়ানমার মঞ্চস্থ করছেই। এর সর্বশেষ সংযোজন হলো গত ২৪ আগস্ট ২০১৭ তারিখের রাত থেকে সেখানে আকস্মিক সেনাবাহিনী কর্তৃক নিরীহ রোহিঙ্গাদের ওপর আক্রমণ। এসব ঘটনা ঘটানোর পর যে কথাটি মিয়ানমার সরকার সবসময় বলে কাটিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে থাকে এবারও ঘটনার পর তার ব্যতিক্রম হলো না। তারা সরকারের তরফ থেকে ব্যাখ্যা দিয়েছে রাখাইন রাজ্যে বসবাস করা মুসলিম নাগরিকদের একটি অংশ সেদেশে জঙ্গি বাহিনীর সঙ্গে সম্পৃক্ত। তারা মাঝেমধ্যেই নাকি মিয়ানমারের সরকারি নিরাপত্তাবাহিনীর উপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। গত ২৪ আগস্ট দিবাগত রাতেও তাদের ৩০টি সেনা ছাউনিতে একই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে দাবি করেছে মিয়ানমার সরকার। আর সেজন্যই তারা পরদিন অর্থাত্ ২৫ আগস্ট থেকে নির্বিচারে রাখাইনের রোহিঙ্গা মুসলিমদের উপর অমানষিক নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। তারই ফলে সেখানকার আবালবৃদ্ধবনিতারা জীবন রক্ষার্থে পালিয়ে আসছে বাংলাদেশের সীমান্তে।
আগেই বলেছি ইতোমধ্যে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর অত্যচারে এ যাবতকালে সর্বসাকুল্যে প্রায় পাঁচ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা শরণার্থী হয়ে আছে বাংলাদেশের বিভিন্ন শরণার্থী আশ্রয় শিবিরে। তার সঙ্গে প্রতিবারেই আবার নতুন নতুন যুক্ত হচ্ছে আরও হাজারে হাজার। এই তো মাত্র গত কিছুদিন আগেও একই আবস্থা সৃষ্টি করলে তখনও এসেছে আরও অনেক রোহিঙ্গা। এরা আসতে আসতে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে যে এখন সেখানে আর তিল ধারণের ঠাঁই পাওয়া যাচ্ছে না। আর বাংলাদেশকে রোহিঙ্গা ইস্যুটি নিয়ে একটি বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়। কারণ এমনিতেই বাংলাদেশ একটি দারিদ্র্যপীরিত উন্নয়নশীল দেশ। তার ওপর কিছুদিন পর পর ঘটে প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এই তো এ বছরেই প্রথমে দেশের হাওরাঞ্চল এবং পরে দেশের উত্তরাঞ্চলে বন্যার কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কারণে আমাদের বাড়তি খাদ্যের চিন্তায় ২০ লাখ টন খাবার আমদানির প্রক্রিয়া চলছে।
যেহেতু রাখইন রোহিঙ্গারা ধর্মে মুসলিম, সেজন্য তাদেরও কোরবানির ঈদ ছিল। কিন্তু ২৫ আগস্ট থেকে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত  ৭-৮ দিনে সেখানে প্রায় চারশতাধিক রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হয়েছে। নাফ নদীতে ডুবেই মৃত্যুবরণ করেছে অন্তত অর্ধশতাধিক। সেখানে অনেক নারী ও শিশু রয়েছে। এমনি একটি অবস্থায় ঈদ হয়েছে ২ সেপ্টেম্বর তারিখে। তাতে একদিকে যেমন বিতারিত রোহিঙ্গাদের ঈদের আনন্দ মাটি হয়েছে, অপরদিকে যারা তাদের ফেরানো, ভেতরে ঢুকতে না দেয়া, তাদের মানবিক বিপর্যয় ঠেকানো, তাদের কিছুটা হলেও জীবনধারণের জন্য খাদ্য দেয়া, তাদের পাহারা দেয়া ইত্যাদি কাজে সার্বক্ষণিকভাবে নিয়োজিত তাদেরও আসলে কোনো ঈদ হয়নি। কাজেই এবারের ঈদটি তাদের জন্য আনন্দের পরিবর্তে বিষাদ হয়ে এসেছে। আর এটি নিয়ে এর ভেতরেই বাংলাদেশ সরকার যতটুকু মানবিকবোধসম্পন্ন হয়ে আন্তর্জাতিকভাবে লবিং করা যায় তার সবটুকুই সরকারের তরফ থেকে করা হয়েছে। কারণ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে দেখা গেছে ঈদের আগে বিভিন্ন ইস্যুতে প্রতিবাদ জানানোর জন্য মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে প্রতিবাদ লিপি তো পাঠিয়েছেনই সেই সঙ্গে তাকে তলব করে কূটনৈতিক শিষ্টাচার অনুযায়ী প্রতিবাদ জানিয়েছেন। শুধু তাই নয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ঈদের আগে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী দেখা করতে এলে তাকে এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে মিয়ানমারকে চাপ দেয়ার বিষয়ে অনুরোধ জানান।
এদিকে রাখাইন রাজ্যে দীর্ঘদিন যাবত মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অত্যাচার ও অবহেলা চলতে থাকায় এখন তারা কিছুটা রুখে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। তারই অংশ হিসেবে হাজার হাজার রোহিঙ্গা বৃদ্ধ, শিশু ও মহিলাদের বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিয়ে পুরুষেরা সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য থেকে যাচ্ছে। সেখানে চলছে পাল্টাপাল্টি যুদ্ধ। সে কারণে নিরাপত্তা বাহিনীর লোজন আরও ফেঁপে উঠছে। বাড়াচ্ছে রোহিঙ্গা নির্যাতন, জ্বালিয়ে দিচ্ছে বাড়িঘর, নষ্ট করছে সম্পদ, বিতারিত করছে ভিটে মাটি থেকে। বিগত কয়েকদিনে তাই প্রায় ৬০ হাজার রোহিঙ্গা নতুন করে শরণার্থী শিবিরে যুক্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রতিদিনই এ বহরে আরও যুক্ত হচ্ছে আরও হাজারে হাজার। এরই মধ্যে আরও একটি খবর পাওয়া গেছে যা একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে আর তা হলো সেখানে মুসলমানদের পাশাপাশি চার শতাধিক হিন্দু পরিবারও বিতারিত হয়েছে। তবে তাদের নিয়ে কনসার্ন হয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। তাদের একাধিক টিম সেখানে পরিদর্শন করে খোঁজখবর রাখছে।
     এখানে আরেকটি বিষয় উল্লেখ করার দরকার যে, যেহেতু প্রতিদিন হাজার হাজার রোহিঙ্গা আসছে এবং এদের মধ্যে বৃদ্ধ, গর্ভবতী মহিলা, শিশু, অসুস্থ রোগী রয়েছে সেজন্য মানবিক কারণেই এসব লোককে ইচ্ছা করলেও অমানবিকভাবে ফেরত পাঠাতে পারছে না বাংলাদেশ সরকার। কিন্তু সেই সুযোগে এক শ্রেণির দালাল ওপাড় থেকে লোকজনকে ধরে ধরে এনে সীমান্ত পর করে দেয়ার কথা বলে শরণার্থীদের সঙ্গে থাকা টাকা পয়সা, অলঙ্কার ইত্যাদি লুটে নিয়ে তাদের আরও নিঃস্ব করে দিচ্ছে। তবে সীমান্তে দায়িত্বপালনকারী বিজিবি তাদের গ্রহণ না করে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু সবক্ষেত্রে যে সফল হচ্ছে তা নয়। দেখা গেছে দালালদের দৌরাত্ম্যে সীমান্তরক্ষীদের চোখকে ফাঁকি দিয়ে শিবিরে পৌঁছে দিচ্ছে। সেক্ষেত্রে নাফ নদীপথকেও তারা ব্যবহার করছে। আর সেজন্যই নদীতে নৌকায়, ট্রলারে আসার সময় দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার শিকার হয়ে একং পালাতে গিয়ে এমনকি অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে দুর্ঘটনায় পড়ে অনেকের মৃত্যু হচ্ছে যাদের লাশই নদীতে ভেসে উঠতে দেখা যাচ্ছে।  
    মিয়ানমার দেশটি মূলত বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী অধ্যুষিত। সেজন্য তারা সেখানে ধর্মীয় সম্প্রীতি দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে। যার কারণে সেখানে মুসলিম এমনকি হিন্দুরাসহ অন্যন্য ধর্মাবলম্বীরা হরহামেশাই কথায় কথায় নির্যাতিত হচ্ছে। বাংলাদেশের অনুরোধের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফে রোহিঙ্গা ইস্যুতে মানবিক হওয়ার জন্য চাপ দেয়া হয়েছে মিয়ানমার সরকারকে। তবে এসব কিছুর দায় প্রকারান্তরে অং সান সুচির উপরেই বর্তাচ্ছে। কারণ ২০১৫ সালে সেনাশাসিত মিয়ানমারকে দীর্ঘদিন পরে গণতান্ত্রিক পন্থায় যাত্রা শুরু করায় মনে করা হয়েছিল তিনি এসব সমস্যার সঠিক ও সম্মানজনক সমাধান করবেন। কিন্তু তার ক্ষমতা গ্রহণের অল্প কিছু দিনের মধ্যেই বিশ্ববাসীর ধারণা পাল্টাতে থাকে। তিনিও সামরিক সরকারের মতোই আচরন করে চলেছেন রাখাইন তথা রোহিঙ্গাদের প্রতি। সেখানে আশা করা গিয়েছিল তিনি নতুন সমস্যাতো সৃষ্টি করবেনই না, উপরন্তু দীর্ঘদিন ধরে চলমান এবং পূর্বে থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া পাঁচ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা শরণার্থীর বিষয়ে মানবিক কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করে সমস্যাটির আশু সমাধানে ব্রতী হবে। কিন্তু সে আশা গুড়েবালি হলো।
    তাই এখন বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে কথা উঠেছে অং সান সুচি শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন তার এখন আর কোনো যৌক্তিকতা নেই। সেজন্য তা নোবেল কমিটি প্রত্যাহার করে নিলে ভালো হয়। সকলের দাবিও তাই, আস্তে আস্তে জোরালো হলে আশ্চর্য হওয়ার কিছু থাকবে না। কারণ ইতোমধ্যে তিনি দুয়েকটি ঘটনা ঘটিয়ে তা প্রমাণ করে দিয়েছেন। রোহিঙ্গা ইস্যুতে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাঠিয়ে কথা বলার জন্য সময় চেয়েও পাননি। সুচি পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছেন যে তিনি রোহিঙ্গা ইস্যুতে কারও সঙ্গে কথা বলবে না। মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দেখা করার উদ্দেশ্য যদি হয় রোহিঙ্গা বিষয়ে আলোচনা করা তবে আমি তার সঙ্গে সাক্ষাত্ করতে চাই না। এমনকি জাতিসংঘের মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেস, জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানের নেতৃত্বে ‘আনান কমিশনের’ অনুরোধও উপেক্ষা করেছে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে পািকস্তানের শান্তিতে নোবেল বিজয়ী সমাজকর্মী মালালা ইউসুফজাই, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, বাংলাদেশ ও তুরস্ক আনুষ্ঠানিকভাবে এর প্রতিবাদ করেছেন।  
  তবে এ ব্যাপারে তুরস্কে প্রেসিডেন্ট মি. রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান উদ্বিগ্ন হয়ে বিবৃতি দিয়েছেন এ মানবিক বিপর্যয়ের বিপক্ষে। তিনি ঈদের আগে এ ব্যাপারে তার উদ্বিগ্ন হওয়ার বিষয়টি জানিয়ে কথা বলেছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে। তুরস্ক রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কিছু দায় দায়িত্ব নিতে চান বলে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তিনি আসন্ন ওআইসি সম্মেলনে রোহিঙ্গা মুসলিম সম্প্রদায়ের নির্যাতনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন। এখানে আমাদের একটি মানবিক আবেদন হলো- এ ইস্যুতে পুরো মুসলিম বিশ্বকে এক হওয়া প্রয়োজন। মুসলমানরা এমনিতেই জঙ্গি নামের একটি আতঙ্কের জন্য বিশ্বজুড়ে আজ আলোচিত সমালোচিত। অমুসলিমদের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েই আজ কিছু মুসলিমরা জঙ্গিবাদে নাম লেখিয়ে বিপথে যাচ্ছে। তাদের সেসব সর্বনাশা পথ থেকে আমাদের ফেরাতে হবে। তা না হলে মুসলিমদের এভাবেই নির্যাতিত হতে হবে ভবিষ্যতেও। সেজন্য আজকে বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া কিংবা তুরস্ক যেভাবে সমস্যা সমাধানে এগিয়ে যাচ্ছে। এখন বিশ্বে মুসলিম অধ্যুষিত দেশও কম নয় এবং মুসলিম ধর্মাবলম্বীর সংখ্যাও কম নয়। কাজেই অমুসলিমদের তাবেদারি না করে মুসলিম বিশ্বের সম্পদশালী ও শক্তিশালী দেশগুলো এসব বিষয়ে এগিয়ে না আসলে সমস্যার সমাধান করা যাবে না।            
লেখক: ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »


সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পাদক ও প্রকাশক: আলহাজ্ব মিজানুর রহমান, উপদেষ্টা সম্পাদক: এ. কে. এম জায়েদ হোসেন খান, নির্বাহী সম্পাদক: নাজমূল হক সরকার।
সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক শরীয়তপুর প্রিন্টিং প্রেস, ২৩৪ ফকিরাপুল, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : মুন গ্রুপ, লেভেল-১৭, সানমুন স্টার টাওয়ার ৩৭ দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত।, ফোন: ০২-৯৫৮৪১২৪-৫, ফ্যাক্স: ৯৫৮৪১২৩
ওয়েবসাইট : www.dailybartoman.com ই-মেইল : news.bartoman@gmail.com, bartamandhaka@gmail.com