শিরোনাম: |
সম্ভাবনাময় লোভাছড়ার লোভে
|
![]() পর্যটনের অপার সম্ভাবনা এই লোভাছড়ায় প্রবেশ করলেই আপনার চোখ আটকে যাবে। দেখবেন পাহাড়ের কোলজুড়ে সবুজ গাছপালার ঘন রঙে আচ্ছাদিত হয়ে আছে লোভাছড়া চা-বাগান। এর চারিদিকে সবুজের সমারোহ। সীমান্তের ওপারে মেঘালয়ের পাহাড়গুলো হাতছানি দিয়ে ডাকছে। দর্শনীয় স্থানের মধ্যে চা বাগান, প্রাকৃতিক লেক ও ঝরনা, ঝুলন্তসেতু, মীরাপিং শাহের মাজার, মোগল রাজা-রানীর পুরাকীর্তি, প্রাচীন দীঘি, পাথর কোয়ারী ও বন বিভাগের সামাজিক বনায়ন ঘুরতে ঘুরতে কখন যে একটা দিন পেরিয়ে যাবে তা বুঝে উঠতে পারবেন না। এখানকার ঝরনার ছল ছল শব্দ শুনে পর্যটকদের মন আনন্দে নেচে ওঠে। আবাসিক সুবিধা লোভাছড়ায় পর্যটকদের জন্য থাকার কোনো সুব্যবস্থা না থাকলেও বাগান কর্তৃপক্ষের জন্য রয়েছে ৪টি বাঙলো। আপনি লোভাছড়ায় রাত কাটাতে পারবেন না। এজন্য দিনে দিনেই ফিরতে হবে। থাকতে হবে সিলেট শহরে। কোথায় খাবেন খাওয়ার জন্য কানাইঘাট বাজারে তেমন উন্নত মানের কোনো রেস্টুরেন্ট নেই। সেক্ষেত্রে লোভাছড়া যাওয়ার সময় সিলেট শহর থেকে খাবার নিয়ে যেতে হবে। সময় নির্বাচন চাইলে যে কোনো মৌসুমে আপনি লোভাছাড়া ঘুরতে পারেন। তবে সবুজময় লোভাছড়া বর্ষায় এক অপূর্ব রূপ ধারণ করে। বৃষ্টির দিনে লোভাছড়ার সবুজ বুকে ঝাঁপ দেয়া যায়। তবে শীতেও এপাশ-ওপাশ কুয়াশাময় পাহাড় আর বাগানে রোদের খেলা যে কোনো পর্যটকের হূদয় জয় করবে। শীত তো চলেই এসেছে! তাই সেই রোদের খেলা দেখতে চাইলে লোভাছড়াই ঘুরে আসুন এই শীতেই। অবশিষ্ট লোভাছড়ার পাশেই রয়েছে সুরমা, লোভা ও বরাক নদীর মিলনস্থল। তিনটি নদীর মিলন এখানে বদ্বীপের সৃষ্টি করেছে। নদীগুলোর মিলনস্থলে নদীর এক পাশের পানি খুবই স্বচ্ছ এবং অপর পাশের পানি খুবই ঘোলা। একই নদীতে দুই ধরনের পানি দেখে অনেকেই পুলকিত হন। যেভাবে যাবেন প্রথমে আপনাকে দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে সিলেট আসতে হবে। এরপর লোভাছড়া যেতে হলে সিলেট শহরের কদমতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে প্রথমে কানাইঘাট যেতে হবে। ভাড়া নেবে জনপ্রতি ৪৫-৫০ টাকা। তারপর কানাইঘাট বাজার থেকে নৌকাঘাটে গিয়ে সুরমা নদীর পথ ধরে লোভাছড়ার উদ্দেশে যেতে হবে নৌকায় করে। জনপ্রতি ৩০ টাকা এবং রিজার্ভ নিলে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা। কানাইঘাট উপজেলা সদর থেকে লোভাছড়ার দূরত্ব মাত্র ৯ কিলোমিটার। উপজেলা সদর থেকে সড়ক ও নদী পথে লোভাছড়ায় যাওয়া যায়। |