শিরোনাম: |
মহিমাগঞ্জ রেলস্টেশন
ক্লোজডাউন উঠে গেলেও নেই ট্রেনের যাত্রাবিরতি
|
![]() সরাসরি কোলকাতার টিকেট বিক্রি করাসহ বিভিন্ন কারণে ঐতিহ্যবাহী বি-গ্রেডের এ স্টেশনের ওপর দিয়ে প্রতিদিন চার জোড়া আন্তঃনগরসহ আপ-ডাউন মিলিয়ে ১৬টি ট্রেন যাতায়াত করলেও ছয়টি ট্রেনই এখানে থামে না। এর ফলে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা এবং পার্শ্ববর্তী সাঘাটা উপজেলার একাংশের মানুষসহ একটি বিশাল অংশের মানুষ চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। এর পাশাপাশি সরকারও হারাচ্ছে বিপুল অংকের রাজস্ব। উপজেলার প্রধান এ রেলস্টেশনটির ক্লোজডাউন উঠে যাওয়ায় এখন সব ট্রেন চলাচল ও পরিচালনার জন্য সম্পূর্ণ উপযুক্ত হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কেবলমাত্র দিনাজপুর-সান্তাহার রুটের আন্তঃনগর দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছাড়া আর কোনো আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি দেয়া হচ্ছে না। প্রয়োজনীয় লোকবলের অভাবে ২০১৫ সালের ২৪ মার্চ থেকে গাইবান্ধা জেলার বাণিজ্য ও শিল্পাঞ্চলখ্যাত এবং রংপুর বিভাগের প্রবেশদ্বার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার প্রধান রেলস্টেশন মহিমাগঞ্জের বাণিজ্যিক ও ট্রাফিক কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় রেল কর্তৃপক্ষ। এ কারণে রেলের ভাষায় ‘ক্লোজডাউন’ হয়ে যাওয়া মহিমাগঞ্জের ট্রেনযাত্রীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হন। সাধারণ ট্রেনগুলির কয়েকটি বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় চলাচলের কারণে সেসব ট্রেনের ভেতরে টিকিট পাওয়া গেলেও সরকারি ব্যবস্থাপনায় চলাচলকারী ট্রেনের যাত্রীরা টিকিট কিনতে না পেরে ব্যাপক হয়রানির মধ্যে পড়েন। বিশেষ করে আন্তঃনগর দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রীরা দুইপার্শ্বের স্টেশন বোনারপাড়া ও সোনাতলায় ট্রেন থেকে নেমে টিকিট কিনে আনতে গিয়ে প্রচণ্ড সমস্যায় পড়তেন। এর ফলে অনেক যাত্রীই বিনা টিকিটে যাতায়াত করতে বাধ্য হতেন। এতে রেল কর্তৃপক্ষও হারাচ্ছিল বিপুল অংকের রাজস্ব। ২০১৬ সালের ১২ ডিসেম্বর থেকে শুধুমাত্র দিনের বেলার জন্য ‘ক্লোজডাউন’ ব্যবস্থা উঠিয়ে দেয়া হয়। |