শিরোনাম: |
সম্মাননা পাচ্ছেন নূর-জয়া ও ব্রাত্য বসু
|
![]() উদ্বোধনীতে প্রধান অতিথি ছিলেন, উপমহাদেশের প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক। ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটির সভাপতি ডা.এফএমএ জাহিদের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন ভাষা সৈনিক আবুল হোসেন। কথাসহিত্যিক হাসান আজিজুল হক বলেন, ঋত্বিক ঘটক তার জীবনে সাংস্কৃিতিক ভূমিকা পালন করেছেন। ভিন্নধর্মী চলচ্চিত্র নির্মাণের কারণে তার পরিচিতি তিনি একজন বিশ্বমানের চলচ্চিত্রকার। তিনি আরও বলেন, সাংস্কৃতিক দিক নিয়ে ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটি রাজশাহী স্বাধীনভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ঢাকার বাইরে রাজশাহীতে তারা এর আয়োজন করে যাচ্ছে যা অনেক সম্মানজনক। এদিকে, এবছর ঋত্বিক ঘটক পদকের জন্য মনোনিত হয়েছেন বাংলাদেশ ও ভারতের ছয় গুণিজন। উত্সবের উদ্বোধনীতে অতিথিরা ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা ভিকে জোসেফ, রাজশাহীর কবি রুহুল আমিন প্রামাণিক এবং লেখক ও সম্পাদক অধ্যাপক ফজলুল হকের হাতে সম্মাননা তুলে দেন। আগামীকাল উত্সবের সমাপনীতে সম্মাননা জানানো হবে মনোনীত অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূর, অভিনেত্রী জয়া আহসান ও ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা ব্রাত্য বসুকে। সিনেমা ও থিয়েটারের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য ২০০৯ সাল থেকে এই পদক দিয়ে আসছে ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটি। অপরদিকে উত্সব উপলক্ষে গতকাল থেকে মঙ্গলবার প্রতিদিন বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত রাজশাহী নগরীর পদ্মাপাড়ের লালন মঞ্চে থাকছে চলেচ্চিত্র প্রদর্শনী। গতকাল প্রদর্শিত হয়েছিলো শিবলী নোমানের চলচ্চিত্র ‘ত্রি’ তাওকীর ইসলামের চলচ্চিত্র ‘আয়না’ ও শাহরিয়ার চয়নের ‘গন্তব্যহীন’। আজ প্রদর্শিত হবে মাহমুদ হোসেন মাসুদের ‘আলোর দেখা’ শাহরিয়া হাসান শুভোর ‘বিবেক’ নাহিদা সুলতানা সুচির ঘুড়ি’ ও বিভাস রায়ের ‘মায়োসিস’। আর শেষদিন প্রদর্শিত হবে আহসান কবীর লিটনের ‘প্রত্যাবর্তন’। প্রসঙ্গত, ঋত্বিকের পুরো নাম ঋত্বিক কুমার ঘটক। তিনি ১৯২৫ সালের ৪ নভেম্বর ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৬ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় মারো যান। তার জীবনের একটা বড় অংশ কেটেছে রাজশাহীতে। তিনি চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির পাঠ শেষ করেন রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল থেকে। ১৯৪৬ সালে আইএ পরীক্ষা দেন রাজশাহী কলেজ থেকে। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পরপরই পরিবারের সঙ্গে চলে যান ভারতে। তার নির্মিত চলচ্চিত্রগুলো এখনও দর্শকদের বিমোহিত করে। গুণী চলচ্চিত্রনির্মাতা হিসেবে আজও স্মরণীয় তিনি। তার সিনেমাগুলো বহুল প্রশংসিত। তার নির্মিত সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘নাগরিক’, ‘অযান্ত্রিক’, ‘বাড়ি থেকে পালিয়ে’, ‘মেঘে ঢাকা তারা’, ‘কোমল গান্ধার’, ‘সুবর্ণরেখা’, ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ ‘যুক্তি তক্কো আর গপ্পো’। |