শিরোনাম: |
জীববৈচিত্র্য রক্ষার দায়-দায়িত্ব
|
![]() কোনো অঞ্চলের মানুষের জন্য কোনো ধরনের জীববৈচিত্র্য অত্যাবশ্যক, তা পৃথিবীর সৃষ্টি থেকে সুনিপুণভাবে নির্ধারিত হয়ে আসছে। আমরা লক্ষ্য করেছি, নানাভাবে জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হচ্ছে। প্রকৃতির প্রতি মানুষের নৃশংসতা, পরিবেশ দূষণ ও পরিবর্তিত জলবায়ুর কারণে অনেক প্রাণী হারিয়ে যাচ্ছে। বিলুপ্ত হয়েছে অনেক পরিচিত প্রাণিকুল। বিশেষজ্ঞদের মতে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আরও ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ প্রাণী বিলুপ্ত হতে পারে। ওয়াইল্ড লাইফ ট্রাস্ট বাংলাদেশ ও দ্য ওয়ার্ল্ড কনজারভেশন ইউনিয়ন বাংলাদেশ শাখার এক জরিপে দেখা গেছে, ইতোমধ্যে দেশের প্রায় দেড়শ’ প্রজাতির বন্যপ্রাণী, মেরুদণ্ডী প্রাণীর ১৩টি, ৪৭ প্রজাতির দেশি পাখি, ৮ প্রজাতির উভচর ও ৬৩ প্রজাতির সরীসৃপ, স্তন্যপায়ী প্রাণীর ১০টি মিলিয়ে প্রায় তিনশ’ প্রজাতির বন্যপ্রাণী বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এছাড়াও বিপন্ন ৪৩ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী। সময়ের সঙ্গে পরিবেশ বিপর্যয়ের এমন আশঙ্কা আরও জোরালো হচ্ছে। পৃথিবীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জীববৈচিত্র্যের আধার বাংলাদেশ। কিন্তু দিন দিন নানাভাবেই ধ্বংস করা হচ্ছে দেশের বনভূমিগুলো। জলবায়ুর প্রভাবে ও শিকারিদের দৌরাত্ম্যে ভালো নেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা দেশের প্রাণিসম্পদ। এক গবেষণায় দেখানো হয়েছে, ইতোমধ্যে বিলুপ্ত হয়ে গেছে প্রায় তিনশ’ প্রজাতির বন্যপ্রাণী। বিলুপ্তির ঝুঁকিতে রয়েছে আরো শ’ খানেক। দেশের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্যের টেকসই সংরক্ষণ কার্যক্রম সচল রাখতে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় নতুন উদ্যোগ নিয়েছে। বন অধিদফতরের সহযোগিতায় বিভিন্ন ধরনের বিপন্ন প্রাণীর আবাসস্থল উন্নয়নে তারা দেশের ৬৪টি জেলার ৪৯১টি উপজেলায় বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও আবাসস্থল উন্নয়ন শীর্ষষ একটি প্রকল্প নিয়ে কাজ করবে। সংশ্লিষ্টরা জানান,এ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্যের টেকসই সংরক্ষণ কার্যক্রম ধারা অব্যাহত রাখা। বিপন্ন প্রাণীর আবাসস্থল উন্নয়ন, বন্যপ্রাণীর পাচার ও শিকার রোধ, নতুন সৃষ্ট ৩টি বন্যপ্রাণী বিভাগ, ওয়াইল্ড লাইফ ও ওয়াইল্ড লাইফ রেসকিউ সেন্টার কার্যক্রমের কলেবর বাড়ানো। নতুন করে বন্যপ্রাণী অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ইউনিট গঠন এবং ফরেনসিক ল্যাবের কর্মকাণ্ড চলমান রাখা। জানা গেছে,এ কার্যক্রম সচল রাখতে প্রকল্পটির জন্য ৩ হাজার ৬শ’ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ বিষয়ে পিইসির প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির আলোচনা সভাও অনুষ্ঠিত হয়েছে। পাশাপাশি পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের প্রধানের সভাপতিত্বে একটি সুপারিশে বলা হয়েছে ‘বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও আবাস স্থল উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্প নামে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বন অধিদফতর এটি বাস্তবায়ন করবে। চলতি বছরের জুলাই থেকে আগামী ২০২০ সালের জুন মাসের মধ্যে এটির বাস্তবায়ন কাল ধরা হয়েছে। প্রকল্পটির প্রস্তাবিত মূল কার্যক্রমের মধ্যে আরও রয়েছে, বন্যপ্রাণী উদ্ধার ও স্থানান্তর, বন্যপ্রাণী বিষয়ক অপরাধ শনাক্তকরণ ও নিয়ন্ত্রণ। সুন্দর বনের সংরক্ষিত এলাকায় ক্যামেরা ট্র্যাপিং পদ্ধতিতে বাঘ মনিটরিং, খাল সার্ভে ও সাইন সার্ভে। স্মার্ট প্যাট্রোলিং, পাখিসমৃদ্ধ হাওর এলাকায় টহল কার্যক্রম বাড়ানো। পাশাপাশি ফরেনসিক ল্যাবরেটরির নতুন সরঞ্জাম এবং সঙ্গনিরোধ যন্ত্রপাতি ক্রয়, নির্মাণকাজ, যানবাহন ক্রয় ও প্রশিক্ষণ। প্রকৃতি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশ একটি জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ দেশ। কিন্তু জনসংখ্যা বৃদ্ধি, প্রাকৃতিক সম্পদের অতিরিক্ত ব্যবহার ও বনভূমিকে কৃষি কাজে রূপান্তর, আবাসস্থল ধ্বংস, বন্যপ্রাণীর অবাধ শিকার ও পাচারের কারণে অনেক বন্যপ্রাণী বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।ফলে জীব বৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের এটি একটি ভালো উদ্যোগ। জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধার অত্যন্ত জরুরি। আমাদের মনে রাখতে হবে বন্যপ্রাণী, পরিবেশ,খাদ্য চক্র ও বন প্রকৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। প্রায় ১০০ বছর আগে বন আইনে বন্যপ্রাণীকে বন্য সম্পদ হিসেবে চিহ্নিত করে এসব ধরা, শিকার ও পাচার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এমনকি তাদের আবাসস্থল ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ একটি আন্তর্জাতিক প্রটোকল ও চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। কিন্তু দেশের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব বন বিভাগের উপর থাকলেও দক্ষ জনবল অবকাঠামো ও বাজেট স্বল্পতার কারণে বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হচ্ছে না। পরিবেশ রক্ষায় বন অধিদফতর রাস্তা ও নদী পাড়ে গাছ লাগানো থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময় নানা পদক্ষেপ হাতে নিলেও সেটি খুব বেশি বাস্তবায়ন হয়নি। পাহাড়ি এলাকাগুলোতে বন্যপ্রাণী ধ্বংস ছাড়াও অনেকেই বন উজাড় করে বসতি গড়ার ফলে জীববৈচিত্র্যের অভায়রণ্য নষ্ট হচ্ছে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এখন অনেক বন্যপ্রাণী বিলুপ্তির পথে। তাই বিশেষ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে প্রাণী জগতের নানা প্রজাতি ও বংশ টিকিয়ে রাখার বিস্তারে সহায়ক হবে। উল্লেখ্য জীববৈচিত্র্য বা এ সম্পর্কিত জ্ঞান ব্যবহারের অনুমতি দিতে একটি জাতীয় কমিটি গঠন করা হবে হবে জানা গেছে। কমিটির কাজগুলো তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত ভাগ করে দেয়া হবে। আশা করা হচ্ছে, জীববৈচিত্র্য আইনটির সুপ্রয়োগ হলে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ জাতিসংঘের জীববৈচিত্র্য সনদে স্বাক্ষরকারী এবং অংশীদার। বিপুল জনসংখ্যার এ দেশে আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রাসহ জীবন-জীবিকা এবং জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষেত্রে জীববৈচিত্র্যের গুরুত্ব আছে। সে হিসেবে জীববৈচিত্র্য রক্ষায় আমাদের দায়বদ্ধতা আছে। উল্লেখ্য, ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্য অত্যন্ত সমৃদ্ধ। জীববৈচিত্র্য রক্ষার সব আইনি কাঠামোও বাংলাদেশে আছে। জীববৈচিত্র্য রক্ষায় জনসচেতনতার অভাব, সংশ্লিষ্টদের উদাসীনতায় জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হচ্ছে দিন দিন। জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের এই চিত্র কোনো মতেই আমাদের জন্যে শুভ হবে না। পত্রপত্রিকায় প্রায়ই আমরা দেখছি কাঠ চোররা বনরক্ষকদের ম্যানেজ করে কিংবা গোপনে বনের গাছ কেটে বনভূমি ধ্বংস করে দিচ্ছে। অন্যদিকে প্রাকৃতিক বন কেটে দ্রুত বাড়ে এমন জাতের আগ্রাসী প্রজাতির গাছ রোপণ করার প্রবণতাও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আমরা জানি বাংলাদেশের বনগুলো জীববৈচিত্র্যের আধার। পশুপাখি, কীট-পতঙ্গের অনুকূল নানা গাছপালা এবং লতাগুল্মে সমৃদ্ধ বাংলাদেশের বনগুলো। উদ্ভিদবিদদের প্রদত্ত তথ্য মতে, বিশ্বে যে ৭২ প্রজাতির শ্বাসমূলীয় গাছ রয়েছে, তার ৬৫টি রয়েছে বাংলাদেশের সুন্দুরবনে। কিন্তু এসব গাছের সুরক্ষায় যথাযথ পদক্ষেপ না থাকায় বনটি আজ হুমকিতে পড়েছে বলে পরিবেশবিদদরা মনে করেন। এক হিসেবে দেখা যায়, ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দে সুন্দরবনের প্রতি হেক্টর জমিতে ২৯৫টি গাছ ছিল, কিন্তু এখন তা কমে ১৩০টিতে নেমে এসেছে। বনের গাছ নিধনের পাশাপাশি সাগর-জলের লবণাক্ততা বৃদ্ধিও জীব বৈচিত্র্যের জন্য হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে। ফারাক্কা বাঁধের কারণে সুন্দরবন এলাকায় লবণাক্ততা মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে জীব বৈচিত্র্যের জন্য বনভূমির সঙ্গে জলাভূমিও অপরিহার্য কিন্তু ভূমিদস্যুদের লোলুপ দৃষ্টি জলাভূমি ধ্বংস করে দিচ্ছে। বৈশ্বিক আবহাওয়ার পরিবর্তনসহ নানা কারণে পানি সম্পদের পরিমাণ পূর্বাপেক্ষা কমে গেছে। সাম্প্রতিক এক গবেষণা রিপোর্টে দেখা যায়, বাংলা দেশের মোট পানিসম্পদের পরিমাণ ১ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন কিউবিক মিটার। এর ৭৫ শতাংশ আসে যৌথ নদীগুলো থেকে, ২০ শতাংশ আসে বৃষ্টি থেকে। দুই শতাংশ আসে ভূগর্ভ থেকে। কিন্তু আমাদের প্রয়োজনীয় পানির ৭৫ শতাংশই ভূগর্ভ থেকে উত্তোলন করা হয়। এতে একদিকে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। অন্যদিকে আর্সেনিকসহ নানা ক্ষতিকর উপাদান পাওয়া যাচ্ছে পানিতে। এসব পানি জীববৈচিত্র্যের জন্যে অনুকূল নয়। এ অবস্থায় বিশেষজ্ঞরা ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহারের দিকে মনোযোগ দিতে পরামর্শ দিচ্ছেন। কিন্তু সুপেয় পানির আধার জলাভূমি ধ্বংস ও নদীগুলোর দখল প্রতিযোগিতা চলছে সমান তালে। সরকারি জলাভূমিগুলো ইজারা দেয়ায় জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করে সেগুলোতে মাছের চাষ করা হচ্ছে। সামান্য কিছু টাকার জন্যে জলাভূমি কেন্দ্রিক জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করা হচ্ছে। আবার পানি সম্পদের একটি বিরাট অংশ ফসল উত্পাদনে খরচ হয়ে যায়। পশু-পাখিসহ নানা বন্যপ্রাণীর জন্য তেমন অবশিষ্ট থাকে না। গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে এক কেজি ধান উত্পাদন করতে পাঁচ হাজার লিটার পানির দরকার হয়। ফলে কৃষি খাতেই আমাদের বিপুল পরিমাণে পানির দরকার হয়। জীববৈচিত্র্যের জন্য পানি রাখতে হলে আমাদের এমন সব জাতের ফসল উদ্ভাবন করতে হবে, যাতে কম পানি দরকার হয়। আমরা মনে করি, জীববৈচিত্র্যে রক্ষার বিষয়টি যেহেতু আমাদের অস্তিত্বের সঙ্গে সম্পর্কিত, সেহেতু এ বিষয়ে খামখেয়ালির সুযোগ নেই। বনভূমি, জলাভূমি, পানি প্রভৃতির সুরক্ষা জীববৈচিত্র্যের স্বার্থে অপরিহার্য। এ বিষয়ে সরকারকে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বিভিন্ন সরকারি সংস্থার মধ্যে সমন্বয়ও আনতে হবে। শুধু আইন প্রণয়ন করলেই জীববৈচিত্র্য রক্ষা হবে না, আইনের সুচারু প্রয়োগও দরকার। এ বিষয়ে সরকারকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। সরকারের পাশাপাশি আমাদের নিজেদেরও দায়িত্ব পালন করতে হবে। যেহেতু আমরা পরিবেশ থেকে প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহার করি। এ প্রাকৃতিক পরিবেশ যথাযথ ব্যবহারে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা পাবে। তাই পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সকলকে সচেতন ও তত্পর হতে হবে। এর দায়-দায়িত্ব আমাদের সকলের। এক্ষেত্রে আমাদের উচিত পরিবেশের উপাদানের প্রতি যত্নশীল হওয়া ও সতর্কতার সঙ্গে ব্যবহার করা। প্রকৃতি, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করে ইট-পাথরের দালান তৈরি হয়তো সম্ভব হবে, তবে কোনো অবস্থায়ই টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত হবে না- এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায়। প্রাণিকুল জীবজগত তথা প্রকৃতির এক অপরিহার্য অঙ্গ। আমাদের অন্ন, বস্ত্র, আশ্রয় তথা সুস্থতার সঙ্গে জীবন ধারণের জন্যই প্রয়োজন সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্যের। প্রাকৃতিক ভারসাম্য মানুষ তথা সমগ্র প্রাণী ও উদ্ভিদজগতের বেঁচে থাকার জন্য একান্ত অপরিহার্য। আর এ ভারসাম্য বজায় রাখতে সঠিক সংখ্যায় সকল প্রাণী ও উদ্ভিদ প্রজাতির বেঁচে থাকাটা অতন্ত জরুরি। আজকাল বিশ্বব্যাপী জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা এবং পরিবেশ সংরক্ষণের দাবি ও উদ্যোগ প্রবল হয়ে উঠেছে। এদেশেও তার ঢেউ এসে লেগেছে। কিন্তু আমরা কি পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য, প্রাণী বিলুপ্তি, পরিবেশের ভারসাম্য কথাগুলোর অর্থ সঠিকভাবে বুঝতে পারছি? এখন পর্যন্ত আমাদের দেশের অধিকাংশ লোক পরিবেশ রক্ষার ব্যাপারে কতটুকু সচেতন? এদেশের জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতে হলে এখনই সকল পেশার মানুষকে প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষায় সজাগ হতে হবে। আর তা না হলে এর ক্ষতিকর প্রভার আমাদেরই বহন করতে হবে। তাই জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্য সরকার ও বিভিন্ন এনজিও’র পাশাপাশি ব্যক্তি উদ্যোগেরও এগিয়ে আসা প্রয়োজন। লেখক : পরিবেশবিদ। |