শিরোনাম: |
ঊনবিংশ শতাব্দীর অস্ত্রোপচারের নির্মম বাস্তবতা
|
![]() বিভিন্ন সময় ইতিহাসবিদরা মধ্যযুগের চিকিত্সা এবং অস্ত্রোপচারের প্রক্রিয়া নিয়ে গবেষণা করেছেন। চিকিত্সাবিষয়ক ইতিহাসবিদ লিন্ডসে ফিটজহ্যারিসের লেখা দ্য বুচারিং আর্ট এবং রিচার্ড বারনেটের লেখা ক্রুশিয়াল ইন্টারভেনশন্স এরকমই দুটি বই, যেখানে ভিক্টোরিয়ান যুগের অস্ত্রোপচার প্রক্রিয়ার ভয়াবহ অজানা দিকগুলো উঠে এসেছে। দ্য বুচারিং আর্টস বইয়ের লেখিকা লিন্ডসে ফিটজহ্যারিস অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হিস্টোরি অফ সায়েন্স এবং মেডিসিনের ওপর ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছেন। মধ্যযুগীয় চিকিত্সার ইতিহাস নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে তিনি সে সময়ে লিপিবদ্ধ করা বিভিন্ন চিকিত্সাবিষয়ক জার্নালের খোঁজ পেয়েছেন, যেখানে রোগীদের ছুরির বিরুদ্ধে অবর্ণনীয় চিত্কার এবং সংগ্রামের বর্ণনা লিপিবদ্ধ করা আছে। চেতনানাশক না থাকার কারণে উনবিংশ শতাব্দীতে অস্ত্রোপচারে দক্ষতার চেয়ে দ্রুততা বেশি গুরুত্ব পেত। কোনো সার্জন কত দ্রুত অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করতে পারত, তার ওপর ভিত্তি করে তার সাফল্য এবং সুনাম ছড়িয়ে পড়ত। ফলে এমন অনেক সার্জন সে সময় খ্যাতি অর্জন করেছিলেন, যাদের আসলে কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতাও ছিল না। এরকম একজন বিখ্যাত অস্ত্রোপচারকারী ছিলেন রবার্ট লিস্টন, যিনি মাত্র ৩০ সেকেন্ডে আহত রোগীর পা কেটে ফেলার ব্যাপারে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন! |