শিরোনাম: |
দাবি আদায়ে সাইন্সল্যাব অবরোধ সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের
|
![]() সন্ধ্যা ৭টার দিকে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ঢাকা কলেজ সংলগ্ন মিরপুর সড়কে অবস্থান করছিল। আশপাশে সব সড়কে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট। জানা গেছে, সাত কলেজের ভর্তির আসন কমানোসহ ৫ দফা দাবি নিয়ে আজ বিকেলে শতাধিক শিক্ষার্থী আলোচনা করতে ঢাবির প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদের কার্যালয়ের সামনে যান। এসময় অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ দুই-তিনজন প্রতিনিধিকে তার কার্যালয়ে এসে কথা বলতে অনুরোধ করেন। তবে তার অনুরোধ না রেখেই সবাই কার্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করেন। এসময় ‘মব’ সৃষ্টি হলে ড. মামুন আহমেদ তাদের সঙ্গে আর কথা বলেননি। পরে এর প্রতিক্রিয়ায় সেখান থেকে তারা বেরিয়ে অবরোধ শুরু করেন বলে জানা যায়। এই বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ দৈনিক বর্তমান পত্রিকাকে বলেন, সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল আমার কার্যালয়ে এসে তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে কথা বলতে আসলে আমি দুই-তিনজন প্রতিনিধিকে আসতে বলি। তখন আমার অনুরোধ না রেখেই সবাই কার্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করেন এবং সেসময় এক ধরনের মব ক্রিয়েটিং হয়। এজন্য আমি আর কথা বলেনি এবং পরে তারা চলে যায়। তবে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী আফজাল হোসেন দাবি করে বলেন, আমরা পাঁচ দফা দাবি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসির কাছে গেলে তারা আমাদেরকে অপমান করে বের করে দেয়। এখন শিক্ষার্থীদের নিকট ক্ষমা চাওয়া সহ সবগুলো দাবি রাতের মধ্যে মেনে নিতে হবে। না মানলে রাস্তা ছাড়ব না। সাত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় রুপান্তরের অন্যতম সমন্বয়ক আব্দুল রহমান বলেন, " সবাই সাইন্সল্যাবে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। সাত কলেজের শিক্ষার্থীরাও মানুষ। অস্তিত্বের প্রশ্নে দলমত নির্বিশেষে সবাই এক। দাবি আদায় না করে এবার আর টেবিলে যাচ্ছি না।" শিক্ষার্থীদের দাবিসমূহ : ১) ২০২৪-২৫ সেশন থেকেই সাত কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় অযৌক্তিক কোটা পদ্ধতি বাতিল করতে হবে। ২)শ্রেণিকক্ষের ধারণক্ষমতার বাহিরে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো যাবে না। ৩)শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে হবে। ৪)নেগেটিভ মার্ক যুক্ত করতে হবে |