শিরোনাম: |
বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধু হত্যার পর থেকেই ইতিহাস বিকৃতি শুরু
|
গতকাল শনিবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিজয় দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যারা দেশের ইতিহাস বিকৃত করেছিল। মিথ্যা বলাটা ওদের অভ্যাস। ওরা তো বলবেই। কিন্তু বিকৃত ইতিহাস এ দেশের মানুষকে আর গেলাতে পারবে না। কারণ, দেশের মানুষ, যুবসমাজ এখন সঠিক তথ্য জানার সুযোগ পেয়েছে। আওয়ামী লীগই সঠিক ইতিহাস তুলে ধরেছে। বিএনপির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীদের মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না। তিনি বলেন, ক্ষমতা দখলকারীরা কিভাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী হয়। যারা জঙ্গিবাদ সমর্থন করেন তারা কিভাবে শান্তির কথা বলে। তিনি বলেন, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীরা মুক্তিযুদ্ধের সময় কেউ কেউ খেতাবও পেয়েছেন। তবে তারা মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাস করতেন কি-না, তা নিয়েই সন্দেহ আছে। কারণ, তারাই এদেশে স্বাধীনতাবিরোধীদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন, পতাকা তুলে দিয়েছেন। আর তারাই এখন কী করে গণতন্ত্রের কথা বলেন! আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীরা কখনোই স্বাধীন বাংলাদেশের উন্নতি চাননি। তারা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুছে ফেলতে চেয়েছেন, বাঙালির আত্মত্যাগের ইতিহাস মুছে ফেলতে চেয়েছেন। ২১ বছর এদেশের মানুষকে বিভক্ত করা হয়েছিল। পরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে ইতিহাস বিকৃতি থেকে এই দেশ মুক্তি পায়। তবে বাংলাদেশের মানুষ বারবার সংগ্রাম করে অধিকার আদায় করেছেন। এক্ষেত্রেও তারা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে নিজস্ব অধিকার আদায় করে নিয়েছেন। তিনি বলেন, বারবারই আমাদের ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলেই বাংলাদেশের মানুষ তাদের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা, অধিকার পায় আর অন্যরা হত্যা, ক্যুয়ের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা দখল করে লুটে খায় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের যা কিছু অর্জন তার সবই তার দলের হাত ধরে মতো দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ বাংলার মানুষকে মুক্তি দিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের আগে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর থেকে বঙ্গবন্ধু যে নির্দেশনা দিতেন, প্রতিটি বাঙালি সেটি মেনে চলতেন। দেশ স্বাধীন হয়, বঙ্গবন্ধুর ডাকে। আওয়ামী লীগ মাত্র ৯ মাসে দেশের সংবিধান দিয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ে তুলেছে- এসবই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্য সম্ভব হয়েছে। আওয়ামী লীগ সমুদ্রসীমা জয় করেছে, শহীদ সৌধ তৈরি করেছে। বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়ে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৭ মার্চ ভাষণে বঙ্গবন্ধু সব নির্দেশনা দিয়েছেন। জাতীয় সঙ্গীত, পতাকা কি হবে সেই নির্দেশনাও বঙ্গবন্ধু দিয়ে যান। স্বাধীনতার সব প্রস্তুতি বঙ্গবন্ধু সম্পন্ন করেন। |