শিরোনাম: |
ধানমন্ডির কার্যালয়ে নেতাদের সঙ্গে বৈঠক
নির্বাচনী ইশতেহার ঠিক করতে হবে এখন থেকেই: প্রধানমন্ত্রী
|
![]() শেখ হাসিনা বলেন, একটা জিনিস মানুষকে জানাতে হবে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে উন্নয়ন হয়। আর বিএনপি ক্ষমতায় এলে লুটপাট হয়, হাওয়া ভবন খোলে। মানুষ খুন, সন্ত্রাস, লুটপাট ছাড়া বিএনপি আর কিছুই দিতে পারে না। মানুষকে এটাও বলতে হবে, সরকারের ধারাবাহিকতা না থাকলে দেশের উন্নতি হবে না। দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হয়ে সরকার তাদের নির্বাচনী ইশতেহারের অধিকাংশই বাস্তবায়ন করেছে বলে দাবি করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনো কোনো ক্ষেত্রে আমরা নির্বাচনী ইশতেহারে যা বলেছি তার চেয়ে বেশিই করেছি। এখন সামনে ইলেকশন। তার জন্য ইশতেহার ঠিক করব। সেটা এখনই ঠিক করতে হবে। জনগণের জন্য, জনগণের ভাগ্য গড়ার জন্য রাজনীতি করেন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি দলের সবাইকে মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, মর্যাদার সঙ্গে মাথা উঁচু করে চলতে হবে, মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করতে হবে। দেশ ও মানুষের কল্যাণের কথা চিন্তা করতে হবে। আমি চাই সততা, নিষ্ঠা ও একাগ্রতার সঙ্গে আপনারা নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করবেন। আমাদের মূল লক্ষ্য হবে মানুষের সেবা করা। দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর মাত্র দ্বিতীয়বারের মতো রাজনৈতিক কার্যালয়ে আসা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, নেতাকর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে দলীয় কার্যালয়ে এসেছি। জনস্বার্থেই কম আসা হয়। পার্টির কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু অনেকদিন এখানে আসি না। মনটা চাচ্ছিল এখানে আসি। তাই চলে এসেছি। গতকাল শনিবার বিকেল ৪টা ২৫ মিনিটে রাজনৈতিক কার্যালয়ে এসে পৌঁছান আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাকে ফুলের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এর আগে সর্বশেষ ২০১৪ সালের ৭ নভেম্বর বিকেলে ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে গিয়েছিলেন তিনি। বৈঠকে উপদেষ্টা সুরঞ্জিত্ সেনগুপ্ত, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মতিয়া চৌধুরী, সাহারা খাতুন, ফারুক খান, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ চৌধুরী ও মুন্নুজান সুফিয়ানসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। |