বুধবার ১৮ জুন ২০২৫ ৪ আষাঢ় ১৪৩২
জাতীয় পরিচয়পত্র
ডাটাবেজ আরও সুরক্ষিত হচ্ছে
Published : Tuesday, 9 May, 2017 at 6:00 AM, Count : 548

মোতাহার হোসেন : জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) ডাটাবেজে রক্ষিত আছে প্রায় ১২ কোটি সিমের বিপরীতে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের আঙুলের ছাপ। এই আঙুলের ছাপের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সংশ্লিষ্ট মহলে। ওই মহলের আশঙ্কা অমূলক এবং এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই মর্মে আশারবাণী শুনিয়েছেন দায়িত্বশীল মহল। এনআইডি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নেয়া আঙুলের ছাপের এই ডাটাবেজ সম্পূর্ণ সুরক্ষিত। কেউ কোনোভাবেই ডাটাবেজ থেকে তথ্য চুরি করতে পারবে না। একই সঙ্গে এ নিয়ে নানামুখী উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে তথ্যপ্রযুক্তির সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নিরাপত্তা হলো- এক ধরনের ইলিউশন। এ বিষয়ে কেউ শতভাগ নিশ্চয়তা দিতে পারবে না।
সূত্র মতে, দেশে বর্তমানে এনআইডিধারীর সংখ্যা ১০ কোটি ১৭ লাখ। তবে সব এনআইডির বিপরীতে আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করার কাজটি এখনও শেষ হয়নি। এনআইডি ডাটাবেজের নিরাপত্তা সম্পর্কে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বরাবরই বলে আসছেন, এনআইডি ডাটাবেজের নিরাপত্তা ব্যবস্থা অত্যন্ত সুরক্ষিত। কোনোভাবেই ফিঙ্গার প্রিন্ট (আঙুলের ছাপ) অন্য কারও হাতে বা অপরাধীদের হাতে চলে যাওয়া সম্ভব নয়। এমন কোনো সুযোগ এতে রাখা হয়নি। তবে নাম পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, মেক্সিকোতে সিম নিবন্ধনে আঙুলের ছাপ বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। তিন বছর পরে সে দেশের সরকার ওই নিয়ম তুলে নেয়। কারণ সেটি নিয়ে বরাবরই সরকারের শঙ্কা ছিল। অন্যদিকে দেশে ব্যক্তিগত সুরক্ষা আইন নেই। ফলে কোনো ব্যক্তির আঙুলের ছাপ যদি কোনোভাবে চুরি হয় বা হ্যাকাররা হ্যাক করে, তাহলে তিনি প্রতিকারের জন্য কোথায় যাবেন, কোনো আইনে আশ্রয় চাইবেন?
তিনি আরও বলেন, এই ডাটাবেজে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রবেশের অনুমতি রয়েছে। কিন্তু কে, কী কাজে, কেন ডাটাবেজে প্রবেশ করছে- তা কি মনিটর করার কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়েছে? এমনকি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি যে নিজের কাজে বা প্রয়োজনে ওই ডাটাবেজ ব্যবহার করছেন না, তার জবাবদিহি কার কাছে করতে হবে? ওই কর্মকর্তা মনে করেন, শুধু ন্যাশনাল টেলিকম মনিটরিং সেলকেই (এনটিএমসি) শুধুু এই ডাটাবেজে প্রবেশের ম্যান্ডেট দেয়া আছে। ফলে কোনো বাউন্ডারি না থাকায় ভয় হচ্ছে। তাই সবার আগে এই তিনটি বিষয়কেই সবসময় মাথায় রাখা উচিত। বিষয়গুলোর যৌক্তিক সমাধান এবং কার্যসূত্র পাওয়া গেলে এর নিরাপত্তা নিয়ে শতভাগ নিশ্চিত থাকা যাবে। তিনি বলেন, এই লেভেলের ডাটার নিরাপত্তার জন্য আরও বড় ধরনের অ্যারেজমেন্টের দরকার ছিল।
জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগের পরিচালক (অপারেশন) আবদুল বাতেন বলেন, এনআইডি ডাটাবেজের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বেশ শক্তিশালী এবং সুরক্ষিত। এই ডাটাবেজ কোনোভাবেই হ্যাক করা সম্ভব নয়।
তবে ব্যক্তির জন্য সুরক্ষার কোনো ব্যবস্থা না থাকলেও এই আঙুলের ছাপ নিয়ে কোনো প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে কোনো মোবাইলফোন অপারেটর অপব্যবহার করলে ৩০০ কোটি টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। তবে কোনো ব্যক্তি এই কাজের সঙ্গে জড়িত থাকলে তার কী ধরনের শাস্তি হবে, তা কোথাও উল্লেখ করা হয়নি।
জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগের একজন সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, আমাদের যে সিস্টেমটি করা আছে তা শুধু আঙুলের ছাপ ভেরিফাই করার জন্য। এটা সরাসরি সার্ভারে নয়, সার্ভারের বাইরে একটা অ্যাপ্লিকেশন ইন্টারফেস দিয়ে কল করা হয়। শুধু ভেরিফাই করে রিপোর্টটি যায়। এটা অন্যের হাতে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কারণ আমাদের কমপ্লায়েন্স ইস্যু আছে, আইনের ইস্যু আছে। আমরা সিস্টেমটি যেভাবে ডেভেলপ করেছি, তাতে করে কেউ চাইলেও এখান থেকে আঙুলের ছাপ নিতে বা কপি করতে পারবে না।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »


সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পাদক ও প্রকাশক: আলহাজ্ব মিজানুর রহমান, উপদেষ্টা সম্পাদক: এ. কে. এম জায়েদ হোসেন খান, নির্বাহী সম্পাদক: নাজমূল হক সরকার।
সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক শরীয়তপুর প্রিন্টিং প্রেস, ২৩৪ ফকিরাপুল, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : মুন গ্রুপ, লেভেল-১৭, সানমুন স্টার টাওয়ার ৩৭ দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত।, ফোন: ০২-৯৫৮৪১২৪-৫, ফ্যাক্স: ৯৫৮৪১২৩
ওয়েবসাইট : www.dailybartoman.com ই-মেইল : news.bartoman@gmail.com, bartamandhaka@gmail.com