শিরোনাম: |
রোমান্টিক ভ্রমণের জন্য রোমানিয়া
|
২৩টি ভিন্ন ইকোসিস্টেমের সঙ্গে পরিচয় হবে আপনার যার মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে বড় জলাভূমিটিও অন্তর্ভুক্ত। অপূর্ব সূর্যাস্তের দৃশ্য মুগ্ধ করবে আপনাকে। নদীতে ভেসে বেড়াবেন নৌকায়, ভাসতে ভাসতে উপভোগ করবেন সূর্যাস্ত। আহ! এর চেয়ে শান্তিময় আর কী আছে! সিলুজ-নাপোকা দেশটির সবচেয়ে বড় বিশ্ববিদ্যালয় এখানে অবস্থিত। ঈষঁল-ঘধঢ়ড়পধ কে বলা হয় ট্রানসিলেভনিয়ার অপ্রাতিষ্ঠানিক রাজধানী। এক সময় এটি ছিল রোমের কলোনি। বর্তমানে এটি রোমানিয়ার শিল্প-সংস্কৃতির কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। বিশাল হাঙ্গারিয়ান জনগোষ্ঠীর বাসভূমি ঈষঁল-ঘধঢ়ড়পধ তে হাঙ্গারিয়ান রাজার বেশ বড় একটি ভাস্কর্য রয়েছে। গথিক সেন্ট মাইকেল চার্চের চার্চ টাওয়ারটি দেশের সবচেয়ে লম্বা চার্চ টাওয়ার, যা নির্মিত হয়েছে ১৪ শতকে। ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব আর্ট এমন একটি জাদুঘর যা না দেখলে আপনি মিস করবেন রোমানিয়ার শিল্পীদের চমত্কার কাজগুলো। তাই অবশ্যই যাবেন এখানে। মামাইয়া ব্ল্যাক সি তে অবস্থিত মামাইয়া রোমানিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় রিসোর্টের নাম মামাইয়া। এখান থেকে সমুদ্রের দৃশ্য দেখা বদলে দেবে জীবন সম্পর্কে আপনার অনুভূতি। মামাইয়া বেশ ছোট, মাত্র ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ জায়গাজুড়ে এর অবস্থান। অসাধারণ সাদা বালির বিচটি যেন সৃষ্টিই হয়েছে সূর্য, মানুষ আর সমুদ্রের মিলন ঘটানোর উদ্দেশে। তিমিসোয়ারা পশ্চিম রোমানিয়ায় এর অবস্থান। এটি দেশটির অন্যতম বড় শহর এবং একই সঙ্গে অনেক প্রাচীন, ১৩ শতাব্দীতে এর প্রতিষ্ঠা। অটোম্যান সাম্রাজ্যের অংশ ছিল এটি এক সময়। এটিই প্রথম ইউরোপিয়ান শহর যার রাস্তায় বৈদ্যুতিক বাতির ব্যবহার হয়েছিল। ২য় বিশ্বযুদ্ধের সময় শহরটির বড় অংশে ব্যাপক ক্ষতি হয়। এখানে ঞরসরড়ধত্ধ ঙত্ঃযড়ফড়ী ঈধঃযবফত্ধষ-টি নির্মিত হয়েছে বিংশ শতাব্দীতে। এর কেন্দ্রে রয়েছে ১১টি উল্লেখযোগ্য টাওয়ার। এখানে গচ্ছিত আছে ভিন্টেজ আইকন পেইন্টিংসহ আরও অনেক ঐতিহাসিক ধর্মীয় দর্শনীয় বস্তু। বাচারেস্ট নতুন আর পুরনোর সম্মিলন যে শহরে তার নাম বাচারেস্ট। শত বছরের পুরনো দালান যেমন দেখতে পাবেন তেমন দেখতে পাবেন আধুনিক হাই রাইজ বিল্ডিং। এই ইউরোপিয়ান শহরে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সংসদ ভবন অবস্থিত, যার কক্ষের সংখ্যাই ৩১০০! উচ্চতায় ১২ তলা। ১৯৮৪ সালে নির্মিত ভবনটি বহু পর্যটককে আকর্ষণ করে প্রতিদিনই। - ইমরান কবির (নয়ন) |