শিরোনাম: |
গুলশানে আতঙ্ক শ্বাসরুদ্ধ অপারেশন শেষে চুরির আলামত
|
বন্ধ রাখা হয় ভবনের সব কার্যক্রম। ভবনের সামনের রাস্তায় যানবাহন ও মানুষ চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। প্রায় ৩ ঘণ্টার অপারেশনের পর কিছুই পেল না আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। প্রতিষ্ঠানের লোকজন বলেন, ব্যাগ নিয়ে চোর ঢুকেছিল। পেছনের পথ দিয়ে পালিয়েছে। স্থানীয় লোকজন জানান, সকাল ১০টার দিকে গুলশান-১ নম্বরে ইলেকট্রনিক্স পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এলজির শোরুম ঘিরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তখন খবর ছিল সেখানে অস্ত্রধারী চার যুবক প্রবেশ করেছেন। এলজির শোরুমের নিচেই ব্র্যাক ব্যাংকের বুথ। পাশে এনসিসি ব্যাংক। বিপরীতে বেসরকারি মোবাইল অপারেটর রবির অফিস। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি সতর্কাবস্থায় অবস্থান নেন র্যাব সদস্যরাও। গুলশান থানার ডিউটি অফিসার এসআই মহিদুল ইসলাম সকালে জানান, ডাকাত কিংবা জঙ্গি সদস্যদের ডাকাতির পরিকল্পনা হিসেবে ধরে নিয়ে পুরো এলাকা ঘিরে রাখা হয়েছে। পুলিশ প্রস্তুতি নিচ্ছে সেখানে অভিযান চালানোর। তবে পরে বেলা ১টার দিকে র্যাব-১ এর উপ-অধিনায়ক মেজর শফিউল আজম সিদ্দিকী বলেন, ওই ভবন থেকে কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। ওই ভবনের এমজি রয়্যাল সিকিউরিটি কোম্পানির মালিক দাবি করেছেন, তাদের তিন থেকে চার লাখ টাকা খোয়া গেছে। ভেতরে যারা ছিলেন তারা পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে গেছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। সেখান থেকে দুটি ব্যাগ ও মোবাইল উদ্ধারের কথা জানিয়েছেন আজম। এলজির শোরুমের প্রতিনিধিরা জানান, যে ভবন ঘিরে পুলিশ অভিযানের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল ভবনটির নাম চায়না বিল্ডিং। ওই বিল্ডিংয়ের নিচ তলায় রয়েছে ব্র্যাক ব্যাংকের এটিএম বুথ। পাশে এনসিসি ব্যাংক। ব্র্যাক ব্যাংকের এটিএম বুথের নিরাপত্তা প্রহরী সবুর মোল্লা বলেন, ঘটনার সূত্রপাত ভোর ৬টা ৫০ মিনিটে। তিনি বলেন, ওই ভবনের কলাপসিবল গেটের একজন তালা কাটছিলেন। তাকে সে বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতেই সে ওপরে উঠে যায়। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে সাড়ে ৭টার দিকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ এসে অবস্থান নেয়। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সেখানে ডাকাত ঢুকেছে। ব্র্যাক ব্যাংকের অ্যাসিসটেন্ট জোন ইন্সপেক্টর ফরহাদ জানান, সবুর মোল্লা তাদের সকাল সাড়ে ৭টায় খবর দেন। এরপর তিনি ঘটনাস্থলে এসে দেখেন বিপুল সংখ্যক পুলিশ। তিনি পুলিশের মাধ্যমে জানতে পারেন, এখানে ডাকাত হানা দিয়েছে। এ বিষয়ে গুলশান থানায় একটি জিডি নথিভুক্ত করা হয়েছে। |