শিরোনাম: |
বিপিএলের দ্বিতীয় পর্ব শেষ
এগিয়ে দেশি ক্রিকেটাররাই
|
ধারাবাহিকভাবে পারফরম্যান্স করেই দেশীয় ক্রিকেটের অগ্রসরমানতার ‘হুইসেলি বিজ্ঞাপন’ দিচ্ছেন মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবালরা। এমনকি মেহেদি মারুফ ও মোহাম্মদ শহীদের মতো অতারকা ক্রিকেটাররাও আগ্রাসনের মন্ত্রে নজর কাড়তে সমর্থ হয়েছেন। ২০১২, ২০১৩ কিংবা ২০১৫ সালের বিপিএলে বিদেশি ক্রিকেটারদের দাপট দেখা গিয়েছিল। প্রথম ও তৃতীয় সংস্করণে ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ রান করেছিলেন যথাক্রমে বরিশাল বার্নার্সের পাকিস্তান ব্যাটসম্যান আহমেদ শেহজাদ এবং ঢাকা ডাইনামাইটসের শ্রীলঙ্কান প্রতিভা কুমার সাঙ্গাকারা। অন্য দিকে ২০১৩ ও ২০১৫ সালে যথাক্রমে বল হাতে চূড়ায় উঠতে সমর্থ হয়েছিলেন ঢাকা গ্লাডিয়েটর্সের দক্ষিণ আফ্রিকান রিক্রুট আলফানসো থমাস এবং ২০১৫ সালে বরিশাল বুলসের ক্যারিবিয়ান পেসার কেভন কুপার। ব্যতিক্রম কেবল ইলিয়াস সানি ও মুশফিকুর রহিম। বিপিএলের প্রথম আসরে বল হাতে সবচেয়ে দাপুটে ছিলেন সানি, পরের বছর ব্যাট হাতে বাকি সবাইকে পেছনে ফেলেন মুশি। কিন্তু ২০১৬ সালের চলতি আসরটা ভিন্ন সৌরভে বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত। এবার বোলিং ও ব্যাটিং দুই ডিপার্টমেন্টেই বিদেশি ক্রিকেটারদের ছাপিয়ে গেছেন বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা। চট্টগ্রাম পর্ব শেষে বিপিএলের চতুর্থ আসরে সর্বোচ্চ পাঁচ রান সংগ্রাহকের প্রত্যেকেই দেশি ক্রিকেটার। অন্যদিকে সর্বোচ্চ পাঁচ উইকেট শিকারীর তিন জন ‘টাইগার’। এর মধ্যে আলাদা করে বলতে হবে মুমিনুল হক, মেহেদি মারুফ এবং মোহাম্মদ শহীদের কথা। কারণ, মুমিনুলের গায়ে টেস্ট ক্রিকেটারের তকমা সেটে আছে। অবিরত চেষ্টায় তা ছিঁড়ে ফেলছেন কক্সবাজারের ক্রিকেটার। অন্যদিকে, বলের লাইন-লেন্থ ঠিক রেখে যে সফলতা পাওয়া যায় তা প্রমাণ করে চলেছেন মোহাম্মদ শহীদ। মেহেদি মারুফের উত্থানের কথাও বলতে হবে। জয় দিয়ে ঘরের মাঠকে বিদায় চিটাগংয়ের চট্টগ্রাম পর্বের শুরুটা হয়েছিল পরাজয়ের হতাশা দিয়ে। তবে শেষে এসে সেই হতাশা আর ভর করেনি চিটাগং ভাইকিংসের ওপর। চট্টগ্রামে ঢাকার কাছে হারের পর ঘুরে দাঁড়িয়েছিল তামিম ইকবালের দল। মঙ্গলবার প্রতিশোধের ম্যাচে বরিশাল বুলসকে ৭৮ রানে হারিয়ে নিজেদের মাঠে টানা তৃতীয় জয় তুলে নিলো ভাইকিংসরা। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৮৫ রান করেছে চিটাগাং ভাইকিংস। জবাবে ১৮.৪ ওভারে বরিশালের ইনিংস থামে ১০৭ রানে। |